নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- পারিবারিক বিবাদের জেরে আপন জ্যাঠার ছেলের এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম হলেন খুটতুতো ভাই। তিন দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে আজ বিচার চেয়ে থানার দ্বারস্থ আক্রান্ত যুবক। ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর থানার বাগদিয়া মহেশ্বপাড়ার। জানা যায় আক্রান্ত যুবকের নাম ভাস্কর বিশ্বাস, অভিযুক্ত জ্যাটার ছেলের নাম কিশানু বিশ্বাস। তারা একই সম্পত্তিতে বসবাস করেন। অভিযোগ গত শনিবার সকালে ভাস্কর বিশ্বাস তাদের জমিতে পেয়ারা তুলতে যায়, বাড়ি ফেরার পথে চাষের জমিতেই জ্যাঠার ছেলে কৃশানু বিশ্বাস তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় লুকিয়ে পড়ে ভাস্কর, ছুটে যায় স্ত্রী সহ পরিবার, সাথে সাথেই তাকে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের স্থানান্তর করে চিকিৎসকেরা। সেখানেই সর্ব অঙ্গে প্রায় ২৫ টি সেলাই পড়ে ভাস্করের। যদিও তিন দিন হাসপাতালে শয্যাশায়ী থাকার পর সোমবার বিচার চেয়ে শান্তিপুর থানার দারস্থ হয় স্ত্রী ও আক্রান্ত ভাস্কর, এরপর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। আক্রান্ত ভাস্করের অভিযোগ, তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা এই ঘটনা ঘটার পরেও বাড়িতে এসে বারেবার প্রাণে মারার হুমকি দেয় তার জেটার ছেলে কৃশানু বিশ্বাস। তার দাবি বেশ কিছুদিন ধরেই জমি জায়গা নিয়ে বিবাদ চলছিল পরিবারে, এদিন তাকে একা পাওয়ার সুযোগ নিয়ে এই আক্রমণ বলে অভিযোগ আক্রান্ত যুবকের। এই মুহূর্তে পুলিশ প্রশাসন যদি করা ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে বর্তমানে তারা প্রাণ সংশয়ে ভুগছেন। যদিও অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। অন্যদিকে এই ঘটনার পর অভিযুক্ত যুবক বাড়ি ছেড়ে পলাতক। পরিবারের দাবি চিকিৎসক পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, এই মুহূর্তে তার বড় অপারেশনের প্রয়োজন তাই আবারো তাকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হতে হবে।