নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- সারাদিন শুধু ঘুম, নিশি রাত হলেই নেশায় মত্ত হয়ে পড়ে মাঝ বয়সী ব্যক্তি। এরপর এলাকার প্রত্যেকটি বাড়িতে গিয়ে শুরু করে তাণ্ডব, কারোর দরজা খুলে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা, কারোর আবার জানালা দিয়ে উঁকি মারে বিছানায়। গত তিন বছর ধরে এই যন্ত্রণায় রাত কাটাতে হচ্ছে এলাকার প্রায় ৫০টি পরিবারের। রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে প্রত্যেকটি মহিলার, ব্যক্তির কঠিনতম শাস্তির দাবিতে এবার প্রশাসনের দ্বারস্থ গ্রামের ৫০ জন মহিলা। ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর থানা এলাকার করমচাঁপুর জোড়া বটতলার। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম প্রদীপ সরকার, বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। ওই এলাকার এক অভিযোগকারী মহিলা শেফালী সরকারের অভিযোগ, গত তিন বছর ধরে ওই ব্যক্তি এই কাণ্ড করে আসছে। রাত যত বাড়ে ততোই দুশ্চিন্তায় ফেলে তাদের, কারণ কার ঘরে না আবার উকি মারা শুরু করে। শনিবার ভোর রাতে আবার ঘটে যায় একই ঘটনা। ঘরের দরজা খুলে প্রথমে ভেতরে ঢোকে ওই ব্যক্তি এরপর ঘরের খিল দিয়ে দেয়। আগেই খোঁজ নিয়ে নেয় তাদের স্বামীরা বাড়ি আছে কিনা, আর সেই সুযোগটাই বেশি ব্যবহার করে। যদিও আজ ভোররাতে মহিলাদের হাতে ধরাই পড়েছিল অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রদীপ সরকার, কিন্তু কপালের জোরে হাত ছিটকে পলাতক হয়ে যায় ব্যক্তি। এরপরে সূর্যের আলো উঠতেই গোটা গ্রামের মহিলারা একত্রিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেন তারা এবার পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হবেন। সেই মতো গ্রামের প্রায় ৫০ জন মহিলা শান্তিপুর থানায় এসে হাজির হন, এরপর প্রত্যেকের সই করে ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোরতম শাস্তির দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অনেক মহিলা বলছেন, এই নিন্দার কথা কার কাছে জানাবেন। প্রশাসন যদি অভিযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা না করে তাহলে আইনের প্রতি আস্থা হারাবেন তারা। যদিও অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। এখন দেখার অভিযুক্তr কত তাড়াতাড়ি শাস্তিr ব্যবস্থা করে পুলিশ প্রশাসন।