গত পৌর নির্বাচনে বাম প্রার্থীদের আইনি চিঠি থানা থেকে, প্রচার বন্ধ রেখে লোকসভার বাম প্রার্থী অলকেশ দাস যোগ দিলেন বিক্ষোভ কর্মসূচিতে।

0
68

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- মাঝপথে প্রচার বন্ধ করে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্টের প্রার্থী অলকেশ দাস সহ স্থানীয় নেতৃত্ব বিক্ষোভ কর্মসূচি তে অংশগ্রহণ করে আজ। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী অলকেশ দাস কে নিয়ে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভোট প্রচারে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু মাঝ পথেই থমকে যেতে হয়। জানা যায় গত পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সে সময় শান্তি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে আইনি চিঠি পাঠিয়েছিল প্রশাসন। আইনি বিচারাধীন থাকলেও সে বিষয়ে আবারো লোকসভা নির্বাচনের আগে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রচারকার্য ব্যাঘাত ঘটাতে হেনস্থা করা হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমনই অভিযোগ স্থানীয় সিপিআইএম নেতৃত্বের। তারা বলেন পঞ্চায়েত কিংবা পুরসভায় যারা ভোট লুট করলো তাদের নামে অভিযোগ হওয়া সত্ত্বেও তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে বহাল তবিয়াতে অথচ পেশায় আইনজীবী অধ্যাপক সাটর্দ্ধ প্রবীণ বামপন্থী তাদেরকে বিব্রত করছে পুলিশ প্রশাসন। আর এর বিরুদ্ধে আজ সমস্ত ওয়ার্ডের প্রতিনিধিরা থানায় এসে বুঝিয়ে দেওয়া হল, আগামীতে সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে বাম কংগ্রেসের মিলিত ঝড় আছড়ে পড়বে থানা এবং প্রশাসনিক ভবন গুলিতে।
প্রাক্তন সাংসদ তথা রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী অলকেশ দাস বলেন এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শাসকদলের অঙ্গগুলি হেলনে করানো হচ্ছে। এই কেন্দ্রে বিজেপি এবং তৃণমূল উভয় দলের কাছে গাত্রদাহ হয়ে পড়ছে বামপন্থীরা। বিজেপি এবং তৃণমূলের সেটিং তত্ত্ব মানুষের কাছে পরিষ্কার তাই তারা এবার জোট বেধেছে সমস্ত দুর্নীতি এবং অত্যাচার অনাচারের প্রতিবাদে। আর তারই পূর্বাভাস পেয়ে প্রশাসন কে কাজে লাগিয়ে, বামপন্থী কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, তাদের প্রচারকার্যে ব্যাঘাত ঘটানো হচ্ছে। তবে এতে কোনভাবেই বিচলিত নয় বামপন্থীরা কারণ এর থেকেও চরম প্রতিকূলতার মধ্যেও মাথা তুলে মানুষের যন্ত্রণার কথা তুলে ধরেছে তারা । বরং তাদের বিব্রত করলে সাধারণ মানুষের গন আন্দোলন গড়ে ওঠে সংগঠিত হয় সকলে।