যাদবপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- অবশেষে যুদ্ধ জয়। আজ অর্থাৎ ২১ শে এপ্রিল, রবিবার বিকাল ৪ ঘটিকায় রামনবমীর যে শোভাযাত্রাটি হওয়ার কথা ছিল সেটি অনুমদোন পেয়েছে। কারন এক সময় এটি প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। বিষয়টি মহামান্য মাননীয় বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এজলাসে বিষয়টি উপস্থাপিত হয় এবং অনেক আলোচনার পর মহামান্য আদালত নির্দিষ্ট দিনে বিকাল ৫ টার সময় রামনবমীর শোভাযাত্রাটি করার অনুমতি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দক্ষিণ কলকাতা জেলা সম্পাদক ড. শেখর রায় জানিয়েছিলেন যে, আমাদের দক্ষিণ কলকাতা জেলা, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যে রামনবমীর শোভাযাত্রাটি গড়িয়া ৫ নম্বর বাসস্ট্যান্ড থেকে যাদবপুরের ৮বি, বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিল, সেটি প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল এবং বর্তমান প্রেক্ষিতটি আপনাদের জানানো প্রয়োজন তাই আপনাদের কাছে ঘটনাটির বিস্তারিত আলোকপাত করছি।আমাদের শোভাযাত্রার জন্য নেতাজি নগর থানায় ১৫ তারিখে ইমেইল এর মাধ্যমে জানাই এবং তারা আমাদের সম্মতি দেয় কিন্তু ১৬ তারিখে নেতাজি নগর থানা আমাদেরকে ডেকে পাঠায় এবং ২১ তারিখের শোভাযাত্রার জন্য অসম্মতি প্রকাশ করে এবং তারা ডিসিপি সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। সেদিনই অর্থাৎ ১৬ তারিখ বিকেল বেলা আমাদের কার্যকর্তাদের নিয়ে আমরা ডিসিপির সঙ্গে দেখা করি এবং বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিস্তারিত আলোচনার ফলাফল তিনি আমাদেরকে মেইলের মাধ্যমে জানাবেন বলে আমাদেরকে বিদায় জানান। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ আমরা নেতাজীর নগর থানার থেকে একটি মেইল পাই যে, ১৭ তারিখ বিকাল চারটা থেকে আটটা পর্যন্ত শোভাযাত্রার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা আমাদের শোভাযাত্রাটি ২১ তারিখ করবো বলে তাদের কাছে আবেদন করেছিলাম। তার প্রেক্ষিতে আমরা ১৭ তারিখ মেইলের মাধ্যমে বিস্তারিত জানাই এবং সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, আমরা এই বিষয়টি নিয়ে মহামান্য আদালতের দ্বারস্থ হবো। সেইমতো আমরা ১৮ তারিখ অর্থাৎ আজ আমাদের শোভাযাত্রাটির অনুমতি চেয়ে মহামান্য আদালতের কাছে আবেদন করেছি। তার প্রেক্ষিতে মহামান্য আদালত আগামীকাল অর্থাৎ ১৯ তারিখ সকাল দশটার সময় মহামান্য বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত-এর এজলাসে চোদ্দ নম্বর কোর্টে আমাদের মামলাটি উপস্থাপিত হবে। আশা করি আমরা আমাদের কাঙ্খিত শোভাযাত্রাটি সঠিক সময়ে সঠিক দিনে সঠিক বিচারের মাধ্যমে আমাদের প্রাণপুরুষ শ্রী রামচন্দ্রের আশীর্বাদে রামনবমীর শোভাযাত্রাটি সুসম্পন্ন করতে সমর্থ হবো। দক্ষিণ কলকাতা জেলার তথা বাংলার সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায় দলমত নির্বিশেষে আমাদের পাশে থাকবেন এই প্রত্যাশা রাখি।”
আর এর ই পরিপ্রেক্ষিত বিষয়টি মহামান্য মাননীয় বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এজলাসে উপস্থাপিত হয় এবং অনেক আলোচনার পর মহামান্য আদালত নির্দিষ্ট দিনে বিকাল ৫ টার সময় রামনবমীর শোভাযাত্রাটি করার অনুমতি দিয়েছেন।সম্পাদক ড. শেখর রায় বলেন এই জয় আমাদের শ্রী শ্রী রামচন্দ্রের আশীর্বাদ প্রাপ্ত দল-মত নির্বিশেষে সকল সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের। বহু ত্যাগ, তিতীক্ষা, সংগ্রামের পর আমরা এই শোভাযাত্রাটি করার অনুমতি পেয়েছি, তাই আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ- আপনারা সকলে ২১ এপ্রিল রবিবার, বিকাল ৫ ঘটিকায় গড়িয়া মোড় থেকে যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত শোভাযাত্রায় শামিল হন এবং যোগদানের জন্য সকলকে উৎসাহিত করুন”।
আর সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজ রবিবার ২১শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫ টায় গড়িয়া মোড় থেকে ৮বি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত শ্রীরাম নবমী মহোৎসব উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা শুরু হবে । পাশাপাশি সমস্ত হিন্দু সংগঠন, হিন্দুত্ববাদী ও রাষ্ট্রবাদী মনোভাবাপন্ন মানুষের কাছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরঙ্গ দল এর পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে নিজেদের এলাকা/মন্দির থেকে ভগবান শ্রীরাম এর মূর্তি, ঝাঁকি গাড়িতে সাজিয়ে আলোকসজ্জা সহ বাদ্যযন্ত্র নিয়ে, নিজেদের গেরুয়া ধ্বজ, পতাকা নিয়ে শোভাযাত্রায় সঠিক সময় সম্মিলিত হয়ে শৃঙ্খলা ও অনুশাসন মেনে বর্ণাঢ্যময় সনাতনী ধর্মীয় শোভাযাত্রাকে ভব্য করে তোলার ।
উল্লেখ্য, বিজেপি ও সনাতনী ভাবাপন্ন মানুষদের আটকে রাখার যে অপপ্রয়াস চলে আসছে বিরোধী দলগুলির দ্বারা, এই জয় তার ই বিরুদ্ধে এক সাপাটে আঘাত বলে মনে করছেন অনেকেই।