পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- সরকারি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষিকার একাউন্টে ঢুকছে ১০০ দিনের কাজের টাকা। শুধু তিনিই নন, বাড়ির ৩ সদস্যের একাউন্টে ঢুকছে টাকা। অথচ সাধারণ মানুসের একাউন্ট ফাঁকা! তাহলে কি শাসক দলের ঘনিষ্ট হলেই ভুয়ো নাম তুলে ১০০ দিনের কাজের টাকা পাওয়া যায়! উঠছে একাধিক প্রশ্ন! কিন্তু কিভাবে! কি করে একজন শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষিকা কাজ না করেও তার ব্যাংক একাউন্টে টাকা ঢুকছে? এই দিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ২ ব্লকের বালিঘাইতে,সেই বিষয়ে অভিযোগ আনলো বিরোধীরা। অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ২ ব্লকের মঞ্জুশ্রী অঞ্চলের মিনতি সেন কর্মসূত্রে বিশরপুর ক্ষুদিরাম শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষিকার কাজ করেন। কিন্তু ২০২১ সাল থেকে লাগাতার ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেন।
সেই তথ্য সংবাদ মাধ্যমের কাছে আসে। সাংবাদ মাধ্যম সেই প্রশ্ন তুললে মিনতি বলেন, যদিও সরকারি চাকরি করি তবুও আমারা খুব গরিব। ১০ হাজার টাকার বেতন। তাই সংসার চালাতে এই কাজ করছি। অথচ উনার বাড়ি বিশাল অট্টলিকা। দেখলে যে কেউ বলবে যথেষ্ট স্বচ্ছল পরিবার।
শুধু তৃণমূল ঘনিষ্ট বলেই কি তাহলে বেআইনিভাবে এই সব একাউন্টে টাকা ঢুকছে? ১৫ দিন আগেও ঠিক এগরা ২ ব্লকের একজন সিভিক ভলেন্টিয়ারের একাউন্টে টাকা ঢুকেছিলো। এবার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার। কেন্দ্র সরকার বার বার করে অভিযোগ করছেন ১০০ দিনের কাজে প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে। একেবারেই সেই দুর্নীতির সব গোপন তথ্য বার বার সংবাদ মাধ্যমের হাতে আসছে।
এ প্রসঙ্গে এগরা ২ ব্লকের বামফ্রন্টের নেতৃত্ব মির্জা নাসের হোসেন বেগ জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষ তাঁর কাজের টাকা পাচ্ছেনা অথচ তৃণমূল ঘনিষ্ট সিভিক ও শিক্ষকরা অবৈধভাবে এই ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছে। কিন্তু বিজেপি নেতা অমলেশ পাহাড়িও তৃণমূলকে চাঁছাছোলা ভাষায় তীব্র আক্রমণ শানান।