নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- —:মেয়ের প্রেমিককে
জমি রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে যাওয়ার নাম করে অটোতে তুলে জোরপূর্বক ভাবে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে।পুলিস ও স্থানীয়দের তৎপরতায় উদ্ধার যুবক।আটক এক।ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার
দুপুরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর গ্রামে।গোটা ঘটনাকে ঘিরে এদিন চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।জানা গিয়েছে,বিয়ের পর এক যুগ কেটে গিয়েছে।দুই সন্তানও রয়েছে।কিন্তু স্বামীর সংসারে মন টেকেনি স্ত্রীর!স্বামী দিনমজুর।এলাকার এক প্রেমিকের হাত ধরে চম্পট দেয় আজমীর শরীফে।১০ দিন পর বুধবার সকালে প্রেমিক প্রেমিকাকে সঙ্গে করে ভবানীপুর গ্রামে
এনামুল হক নামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে উঠেন।এই খবর চাউর হতেই ওই যুবকের স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে ছুটে আসে।অপরদিকে ওই গৃহবধূর বাবার পরিবারের লোকেরা ছুটে আসে।যুবককে তুলসীহাটা জমি রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে যাওয়ার নাম করে অটোতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ ওই গৃহবধূর বাবার পরিবারের লোকেদের বিরুদ্ধে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,প্রেমিক তথা যুবকের নাম বিপুল আলম(৪০)।তার বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুয়া গ্রামে।স্ত্রী সহ তার দুই নাবালক সন্তান রয়েছে।প্রেমিকা তথা গৃহবধূর নাম মর্জিনা খাতুন(৩৫)।তার বাড়ি একই থাকার রহমতপুর গ্রামে।স্বামী সহ তারও দুই নাবালক সন্তান রয়েছে।গৃহবধূ মর্জিনা খাতুন বলেন,’দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ওই যুবকের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।আমার স্বামী প্রেমের সম্পর্কের কথা জানত।এই নিয়ে স্বামী আমার উপর অত্যাচার করত।প্রেমিকের হাত ধরে চলে যেত বলত।তাই আমি প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়।এখন আমি আর স্বামীর কাছে আর ফিরে যাব না।যার হাত ধরে পালিয়েছি তার সঙ্গেই ঘর সংসার করব।’অপরদিকে প্রেমিক বিপুল বলেন,’আমার স্ত্রী সহ দুই নাবালক সন্তান রয়েছে।আমি তাকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে পারব না।’ওই যুবকের স্ত্রীর রুপা খাতুন বলেন,’আমার স্বামীকে ওই গৃহবধূর বাবার পরিবারের লোকেরা তুলে নিয়ে যাচ্ছিল।মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগমারা গ্রামে তাদেরকে আটক করে স্থানীয়রা।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস ছুটে আসে।পুলিস আমার স্বামীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং একজন মহিলাকে আটক করেছে।’
Home রাজ্য উত্তর বাংলা মেয়ের প্রেমিককে জমি রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে যাওয়ার নাম করে অটোতে তুলে জোরপূর্বক...