নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- কাঠফাটা রোদে হুডখোলা জিপে লাল টুপি পড়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী এস এম সাদি। এবং তার পাশাপাশি পথ চলতি মানুষকে গরমের থেকে কিছুটা রেহাই দিতে তার কর্মী সমর্থকেরা বিতরণ করছেন শরবত ও ঠান্ডা পানীয়। দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে নদীয়া জেলার লোকসভা নির্বাচন। দুটি লোকসভা কেন্দ্রেই প্রখর রোদকে উপেক্ষা করে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন প্রত্যেক দলের প্রার্থীরা। পিছিয়ে নেই একে অপরের থেকে কেউই। তপ্ত গরমেই লাল ঝান্ডা হাতে নিয়ে কর্মীসমর্থকদের সঙ্গে হুডখোলা জিপে প্রচার চালাচ্ছেন বাম প্রার্থী এস এম সাদি। এদিন সকালে কৃষ্ণনগর লোকসভার অধীন বিক্রমপুর, হরনগর, বিলকুমারী, ধনঞ্জয়পুর ইত্যাদি গ্রামগুলিতে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন তিনি।
প্রচারের রাস্তাতেই পথ চলতি মানুষকে গরমের হাত থেকে কিছুটা রেহাই দিতে ঠান্ডা পানীয় ও শরবত বিতরণ করছেন তার দলীয় কর্মী সমর্থকেরা। এস এম সাদি জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি খুবই ভালো, পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটছে। নতুন নতুন মানুষ বাম কংগ্রেস জোটের পক্ষে সমর্থন জানাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের ইলেক্ট্রোরাল বন্ডের দুর্নীতি এবং আমাদের রাজ্যের চাকরির যে দুর্নীতি এ ভয়ংকর ব্যাপার, সমাজের সর্বস্তরে নাড়া লাগিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও কাজ নেই পরিচয় শ্রমিকরা বাইরে চলে যাচ্ছে, কৃষকেরা মজুরি পাচ্ছেন না, পেট্রোলের দাম সারের দাম অত্যাধিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সমস্ত বিষয়গুলি মানুষের মধ্যে সারা দিয়েছে।
সিপিআইএমের কথা উঠলেই তৃণমূল বিজেপি বলেন তারা নীল, এ প্রসঙ্গে এফএম সাদি জানান, “মানুষের মনের রসায়ন কখনো অঙ্ক শাস্ত্রে হয় না। মানুষ কারো কেনা গোলাম নয়। পরিস্থিতির পরিবর্তন সবসময় ঘটে। তার জীবন জীবিকা কাজ যন্ত্রণা নিরাপত্তা তার বেকারত্ব ইত্যাদি সবই নির্বাচনের আগে মানুষ ভাবেন। এবং তারই সাথে তারা ভাবেন অন্য দলগুলি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন। নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন প্রত্যেক ভারতবাসীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে ঢুকবে! যা আজও হয়নি, এগুলি মানুষ সবই দেখছে। এছাড়াও রাজ্যে কোন শিল্প কলকারখানা নেই, সব ক্ষেত্রেই চলছে একটি চরম দুর্নীতি।”
রাজ্য ও কেন্দ্রের বিভিন্ন পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়েই মানুষ এবার স্বতঃস্ফূর্তভাবে সিপিআইএমকেই ভোট দেবেন বলে এমনটাই মনে করছেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী এস.এম.সাদি। আপাতত নির্বাচনী প্রচারে রাত দিন ব্যস্ত তিনি।