নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- এ কি কান্ড! মুঠো মুঠো লঙ্কা চিবিয়ে অনায়াসে খেয়ে ফেলছেন নদীয়ার এই ব্যক্তি! শুধু তাই নয় মুখে ফেসওয়াশ এর মত লংকার ডলে সারা মুখ মেখে নিচ্ছেন তিনি! এই লঙ্কা চোখেমুখে দোলে দিলে নাকি তার চোখের জ্যোতি বাড়ে, এমনটাই দাবি করছেন তিনি। রানাঘাট দু নম্বর ব্লকের আইসমালি বেলেরহাটি পাড়ার বাসিন্দা শেখর সিকদার। ছোটবেলায় তিনি জন্মানোর পর আর পাঁচটা বাচ্চাদের মতো স্বাভাবিকভাবেই বড় হয়ে উঠছিলেন। তবে বছর দুয়েক যেতে না যেতেই তার মধ্যে যে এক বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে তা জানতে পারেন তার পরিবার। তিন বছর বয়স থেকেই মুঠো মুঠো কাঁচা লঙ্কা অনায়াসে চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে পারেন তিনি! আর শুধু তাই নয়, মুখে ফেসওয়াশ এর মত ঝাল কাঁচালঙ্কা বেটে সেই লঙ্কা বাটা চোখে মুখে দিলে নাকি তার চোখের জ্যোতি বাড়ে এমনটাই দাবি শেখর বাবুর।
বাড়িঘরের অবস্থা খুব বেশি ভালো নয়, সামান্য যা রোজগার করে তাতে কোনরকমে সংসার চলে যায় তার। বাড়িতে বৃদ্ধ মা জানান তিন বছর বয়স থেকেই শেখর বাবু এভাবেই অনায়াসে মুঠো মুঠো ঝাল কাঁচালঙ্কা খেয়ে আসছি। প্রথমদিকে খানিক ভয় পেয়ে গেলেও পরবর্তীকালে তারা বোঝেন তার মধ্যে সাধারণ মানুষের মতো লঙ্কা খেলে তার ঝাল অনুভূতি হয় না। বাড়ির পাশেই রয়েছে এক পাগল বাবার মন্দির, সেই দেবতার আশীর্বাদেই নাকি তার ছেলে এমন ঐশ্বরিক ক্ষমতা পেয়েছেন।
শেখর বাবু দাবি করেন, সাধারণ মানুষ যে সমস্ত খাবার খান তারচেয়ে বরং কাঁচা লংকাই তার অত্যন্ত প্রিয়। তিন বেলা ভাত না খেয়ে প্রায় এক দিনেই দেড় কেজি কাঁচা লঙ্কায় তিনি অনায়াসেই খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করে থাকতে পারবেন। শুধু তাই নয় চোখে মুখে কাঁচা লঙ্কা বাটা মেখে রাখলে তার চোখের জ্যোতি বাড়ে, যা সাধারন মানুষ মাখলে তাদের চোখ নষ্ট হয়ে যাবে বলে এমনটাই দাবি শেখর বাবুর।
পাড়া-প্রতিবেশীরা শেখর বাবুর এই অস্বাভাবিক ক্ষমতা দেখে অভিভূত।
তবে ঐশ্বরিক ক্ষমতা নাকি এর চিকিৎসা বিজ্ঞানে রয়েছে কোন ব্যাখ্যা বর্তমানে তা জানা নেই আমাদের। তবে আপাতত কাঁচা লঙ্কা খেয়েই বর্তমানে ভাইরাল নদীয়ার শেখর শিকদার।