অতীতে জয়ের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে যেতে চলেছে এবারে নির্বাচনে সাংসদ জগন্নাথ সরকারের অভিমত।

0
53

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  প্রখর রৌদ্রেও বিপুল পরিমাণে জনসমর্থন! সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে ৮ থেকে ৮০ সকলেই রাস্তার পাশে প্রতীক্ষায় সাংসদ কে আশীর্বাদ করার আর এ থেকেই জগন্নাথ সরকারের দাবি অতীতের সমস্ত জয়ের রেকর্ড এবার ভাঙতে চলেছে , তাই অনুমান করে সেই সংখ্যা বলা সম্ভব হচ্ছে না । কারণ হিসাবে সাংসদ তথা রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার প্রথমে আওয়াজ তুলেছিলেন কেন্দ্রে ৪০০ পার আর শান্তিপুর কেন্দ্রে চার লাখ পার। প্রসঙ্গত গতবার তিনি প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে জিতেছিলেন। তবে এবারে যে সমস্ত অতীতের জয়ের রেকর্ড ভেঙে দিয়ে নতুন দৃষ্টান্ত আপন হবে তা তিনি বুঝতে পারছেন ইতিমধ্যেই। তবে প্রথমের দিকে লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে ওঠা কর্মীদের বিভিন্ন অভাব অভিযোগ ইতিমধ্যেই তিনি সমাধান করতে পেরেছেন বলেই দাবি তার তবে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন এগুলো বিরোধীদের চক্রান্ত তাদেরকে নানাভাবে ভুল বোঝানো হচ্ছে কিন্তু তারা বুঝতে পেরেছে আদতেও এটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত শক্ত করার ভোট। বিগত পাঁচ বছরের নিরিখে সাংসদ তহবিলের কোন টাকা ফেরত যায়নি তবে রাজ্য সরকার নানান প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার কারনে রেলওয়ে স্টেশন স্কুল এবং অন্যান্য বেশ কিছু সরকারি ক্ষেত্রে তিনি তার বরাদ্দকৃত অর্থ উন্নয়ন করেছেন কিছু কিছু বিষয় ইচ্ছা থাকলেও তা করা সম্ভব হয়নি শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের বিরোধিতার কারণে। তিনি নিজেকে এমন এক সাংসদ বলে দাবি করেছেন যিনি পাঁচ বছরের হিসাব মানুষের সামনে প্রকাশ্যে দিয়ে দিয়েছেন। জেলার বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য অন্য কোন রাজনৈতিক দল এতটুকু চিন্তা করেনি কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তাদের বিভিন্ন সাহায্য সরঞ্জাম এবং চলাচলের উপযুক্ত হুইলচেয়ার ট্রাই সাইকেল তার হাত দিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রায় 5000 যা সর্বকালের রেকর্ড।
অন্যদিকে গ্রামীন এলাকাগুলিতে সোলার সিস্টেমের বিজলী বাতি, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে পানীয় ঠান্ডা জলের ব্যবস্থা, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী নদীয়ার বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তা ও নানাবিধ উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে।
আজ প্রখর রোদকে উপেক্ষা করেও শান্তিপুর শহরের গোভাগাড় মোড় থেকে কে সি দাস রোড ধরে সুত্রাগড়ের বিভিন্ন অঞ্চল তিনি হুট খোলা গাড়িতে প্রচার অভিযান চালান সাথে ছিলেন অসংখ্য মোটরসাইকেল আরোহী এবং মহিলারা টোটোতে। সুবিশাল এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেন পুরসভার এক এবং 10 নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর মহানন্দ বিশ্বাস এবং বলরাম ঘোষ সহ চার মন্ডলের সভাপতি মহিলা ছাত্র যুব কৃষক সংখ্যালঘু মোর্চার নেতৃবৃন্দ। নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন উন্নয়ন এবং জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে মুখরিত হয় সমগ্র শান্তিপুর। কর্মী সমর্থকরা জানাচ্ছেন সৌভাগ্যের কারণ হিসেবে জগন্নাথ সরকার সমগ্র লোকসভার মধ্যে শান্তিপুরের নিবাসী যেটা আর অন্য রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে নেই তাই শান্তিপুর যে দুহাত ভরে আশীর্বাদ করবে সে বিষয়ে নিশ্চিত তারা। তবে জগন্নাথ বাবুর দাবি যেহেতু রানাঘাট দক্ষিনে নটি বিধানসভার মধ্যে দুটি বাদ দিয়ে বাকি সাতটাই তাদের দখলে বাড়তি লাভ হিসাবে এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি এবং বেশ কিছু পঞ্চায়েত জয়লাভ হয়েছে। অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পে মানুষ উপকৃত তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ রাজ্যের সরকার বিরোধীতা করতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে ব্রাত্য রেখেছে । বরং কেন্দ্রের টাকা দিয়ে প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে একাধিক দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে জেলে রয়েছে নেতা থেকে মন্ত্রী সকলে ই স্থানীয় হোক কিংবা জেলা স্তরে বা রাজ্যস্তরের বিভিন্ন অন্যায় অত্যাচার ব্যভিচার একমাত্র প্রতিরোধ করতে পারবে বিজেপি তাই জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা।