নবদ্বীপ স্বরুপগঞ্জ ঘাটে বিজেপি কর্মীদের ওপর দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- নবদ্বীপ স্বরুপগঞ্জ ঘাটে বিজেপি কর্মীদের ওপর দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ।ঘটনায় গুরুতর আহত তিন বিজেপি কর্মী, প্রত্যেককেই নিয়ে আসা হয়েছে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। হাতে ধারালো অস্ত্র, বন্দুক, লাঠি, লোহার রড দিয়ে মারধরের অভিযোগ করেছেন আহত বিজেপি কর্মীরা। বিজেপি নেতা তাপস দেবনাথ জানান, তাকে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশেই এই আক্রমণ করা হয়েছে। তাকে মৃত্যুর হুমকিও দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বর্তমানে আশঙ্কা জনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি তাপিস দেবনাথ সহ বাকি ২বিহেপি কর্মীও চিকিৎসাধীন। তাপস বাবু জানান, তৃণমুলের নেতা এবং পুলিশের মদতে দুষ্কৃতীরা এলাকায় তান্ডব চালায়। বিভিন্ন অসামাজিক কাজ কর্মের সঙ্গে যুক্ত ওই যুবকরা। তিনি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলাপরিষদের আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন, তখন থেকেই তার উপর হামলার চেষ্টা করা শুরু করেছিল ওই দুষ্কৃতীরা। আজ তার চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করেছে তারা। আর এই ঘটনায় সন্ধ্যায় স্বরূপগঞ্জ এলাকায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখান বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। রাত হতেই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের দেখতে জেলা হাসপাতালে উপস্থিত হন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার।এদিন আহত ব্যক্তিদের কে দেখতে এসে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। তিনি জানান ১ ঘন্টা আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আক্রান্তদের তবে এখনো পর্যন্ত কোন ডাক্তার এসে তাদের চিকিৎসা করায়নি। তৃণমূলের জমানায় শিক্ষায় দুর্নীতি,স্বাস্থ্যের দুর্নীতি, সবেতেই দুর্নীতি হয়ে উঠেছে। যদিও এই ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। ওপর দিকে রাতেই আহতদের দেখতে আসেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ী। তিনি জানান,আজ জে ঘটনা ঘটেছেবটা খুবই নিন্দনীয়। ভোটের আগে তৃণমূল বুঝেছে তারা হারবে, তাই পায়ের তোলার মাটি সড়েগেছে। আর এই নির্মম ভাবে বিজেপির কার্যকর্তাদের উপর হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে। তৃণমূলের জমানায় কেও বাথরুমেও যেতে পারবেনা। সেখানেও তারা গিয়ে আক্রমণ করছে। যদিও রাতেই নবদ্বীপ থানায় দোষীদের গ্রেফতারের দাবি নিয়ে যাওয়ার কথা জানান রাজর্ষি লাহিড়ী। দোষীরা গ্রেফতার না হলে থানা ঘেরাও ও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তিনি। যদিও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নবদ্বীপ থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *