রেজাল্ট ভালো হবে না সেই আশঙ্কা করেই মাধ্যমিকে ফলাফল বেরোনোর কিছুক্ষণ আগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।

0
75

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  রেজাল্ট ভালো হবে না সেই আশঙ্কা করেই মাধ্যমিকে ফলাফল বেরোনোর কিছুক্ষণ আগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ওই পরীক্ষার্থীর নাম সায়ন ঘোষ। বাড়ি নদীয়ার চাপরা থানার দইয়ের বাজার এলাকায়। জানা যায় চাপরা থানার দইয়ের বাজার মহৎপুর এলাকার ছাত্র সায়ন ঘোষ। দইয়ের বাজার হাইস্কুলে পড়াশোনা করতে সে। এবারে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল সায়ন। জানা যায়, গতকাল সায়ন ঘোষের মা বাবা এক আত্মীয় শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় হাসপাতালে এসেছিল। তারা রাতে বাড়িতে ফিরে। বাড়িতে ফিরে ছেলে সায়ন ঘোষ কে জিজ্ঞাসা করে পরীক্ষার ফলাফল কেমন হতে পারে? অন্তত পরিবারের মুখ রাখতে পারবে কিনা। এই বলেই প্রতিদিনের মতো রাতের খাওয়া দাওয়া করে সায়নের মা-বাবা ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। অন্য একটি ঘরে সায়ন একাই থাকতো। প্রতিদিনের মতো সেও ঘরে দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ে। সায়ন ঘুম থেকে কিছুটা বেলা করেই প্রতিদিন ওঠে। সেই কারণে প্রথম দিকে পরিবারের কারো সন্দেহ হয়নি। পরে কিছুটা বেলা গড়াতে পরিবারের লোক ডাকাডাকি শুরু করে। তবে ভিতর থেকে কোন উত্তর তারা পাচ্ছিল না। এরপর এই জানালার ফাক দিয়ে দেখে সায়ন ঘরের মধ্যেই ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। চিৎকার চেঁচামেচি করলে প্রতিবেশীরাও ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। এরপর দরজা ভেঙে সায়নকে সেখান থেকে উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।। সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর সায়ন ঘোষ কে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। খবর পেয়ে আত্মীয়রাও ছুটে আসে।
এ বিষয়ে সায়ন ঘোষের পিসির ছেলে জানান, গতকাল মামা আর মামি শুধুমাত্র তাকে ফলাফল কেমন হবে তাই জিজ্ঞাসা করেছিল। তিনি বলেন সায়ন এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিল তার ফলাফল ভালো নিয়ে আশঙ্কা ছিল। সেই কারণেই কেমন হবে ফলাফল সেই ভেবেই হয়তো এই আত্মঘাতীর ঘটনা ঘটিয়েছে সে। তবে ফলাফল বেরোনোর পর দেখা যায় সায়ন ঘোষ ৫০ শতাংশ নাম্বার পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনায় রীতিমতো শোকের ছায়া পরিবার তথা প্রতিবেশীদের মধ্যে।