বর্ধমান দুর্গাপুর ও বর্ধমান পূর্বের লোকসভা কেন্দ্রের দুই প্রার্থীর সমর্থনে জনসভা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ।

0
51

পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ- বর্ধমান দুর্গাপুর ও বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ আগামী ১৩ই মে। তার আগে দুই লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর সমর্থনে পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান ১ ব্লকের তালিত সাঁই কমপ্লেস ময়দানে আজ জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।আজ ১০.৫০ নাগাদ হেলিকোপটারে অবতারণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।ব্যক্তবের শুরুতেই নরেন্দ্র মোদী বলেন, এই সকালে বাড়ির সমস্ত কাজ ছেড়ে বাড়ির মায়েরা আমাকে আর্শীবাদ করতে এসেছেন তার জন্য আমি সমস্ত মায়েদের শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাই।গোটা ভারতবর্ষ আমার পরিবার আমার কেউ নেই তাঁদের জন্য কিছু রেখে যেতে হবে না। আমি ভারতবর্ষের জন্য কিছু করতে চাই। আমি আপনাদের বাঁচতে চাই, আপনারই আমার পরিবার।তিনি আরও বলেন, দারিদ্র দেখলে আমার শৈশবের কথা মনে পড়ে কারণ আমি শৈশবে দারিদ্রতা দেখে বড় হয়েছি। বিরোধীরা হুমকি দিচ্ছে, কিন্তু মোদী ভয় পায় না। বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একযোগে আক্রমণ করেন তৃণমূল, কংগ্রেস ও সিপিআইএম কে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন,তৃণমূলের বিধায়ক সবার সামনে হুমকি দেয়, এটা কোন সংস্কৃতি। সন্দেহখালিতে এতো বড় গোটা দেশ ও মায়েরা বিচার চাইছে, কিন্তু তৃণমূল তার শেখ শাজাহানকে বাঁচানো চেষ্টা করছে। ভোট ব্যাঙ্ক মানুষএর থেকে বড় নাকি।তৃণমূল তোষণের রাজনীতি করে।ইন্ডিয়া জোট ভোট ব্যাংকের জন্য সমস্ত কিছু করতে পারে।কংগ্রেস চায় আপনাদের সম্পত্তি লুঠ করতে।বাম, তৃণমূল, কংগ্রেস ভোটের নামে বিভাজন করে সব সময়। দলিত ও অদিবাসী দের পিছিয়ে দিতে চায় কংগ্রেস।দলিত আর আদিবাসীরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছে।বিরোধীরা দেশকে ভাগ করার জন্য ভোটে লড়ছে।কেন্দ্র সরকারের পাঠানো সমস্ত টাকা তৃণমূল এর তোলাবাজরা লুঠ করে নিয়েছে। তৃণমূল এর তোলাবাজরা সব জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে, টাকার হিসাব করতে গিয়ে মেশিন কাহিল হয়ে যাচ্ছে। বাংলায় শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে, দোষীদের শাস্তি হবে।তৃণমূলের তোলাবাজি চলতে দেব না, এটা আমার গ্যারান্টি।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও সভা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুনদার, বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ, বর্ধমান পূর্বের বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকার সহ বিজেপি নেতৃত্ব।