নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- মহুয়া মৈত্রের কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সমর্থনে প্রচার করলেন নরেন্দ্র মোদী। যদিও বৃহস্পতিবার এই তেহট্টেই সভা করে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।লোকসভা ভোটের প্রচারে বাংলায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক দিনে তিনটি সভা রয়েছে তাঁর। বর্ধমানে জনসভা শেষ করে কৃষ্ণনগরে পৌঁছন মোদী। তেহট্টের শ্যামনগর ফুটবল মাঠে তাঁর সভা হয়। কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ পরিবারের সদস্য অমৃতা রায়, রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার এবং বহরমপুরের বিজেপি প্রার্থী নির্মাল সাহার সমর্থনে প্রচার করেছেন তিনি। এর পর বোলপুরে উড়ে যাবেন। সেখানে সভা করে ঝাড়খণ্ডে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। বৃহস্পতিবার এই তেহট্টেই মহুয়া মৈত্রের সমর্থনে সভা করে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।অমৃতা রায় ছাড়াও তেহট্টের মঞ্চে ছিলেন রানাঘাটের প্রার্থী জগন্নাথ সরকার এবং বহরমপুরের প্রার্থী নির্মল সাহা। তাঁদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মোদী। মোদী জানান, তিনি সরাসরি পরিষেবায় বিশ্বাসী। তাই তৃণমূলকে নয়, সোজা মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দিতে চান। তৃণমূল সরকারের তা পছন্দ না হওয়ায় তারা টাকা আটকে দেয়।সন্দেশখালিতে কী চলছে, তৃণমূল নেতারা জানতেন। সেখান থেকে কী কী উদ্ধার হচ্ছে, সবাই দেখতে পাচ্ছেন। এই গুলিবারুদ কি বাংলাকে মজবুত করার জন্য মজুত করা হয়েছিল?মতুয়াদের ন্যায়বিচার দেওয়ার জন্য সিএএ আনার কথা বলছে আমাদের সরকার। সবাই ভেবেছিল, তৃণমূল সিএএ সমর্থন করবে। কিন্তু তারা ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে। সিএএ-র বিরোধিতা করছে। তৃণমূলকে এটা জানতে হবে, সিএএ ওরা আটকাতে পারবে না। মতুয়ারা সব সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। কেউ আটকাতে পারবেন না।নদিয়ায় গিয়ে বাংলার শাসকদলকে আক্রমণ করলেন মোদী। বললেন, ‘‘গরিবের রেশনকেও ছাড়েনি তৃণমূল। সর্বত্র দুর্নীতি। তৃণমূল এবং ‘ইন্ডি’ জোটের উপর থেকে মানুষ আস্থা হারিয়েছে।দেশে ১৫টা সিটও পাবে না তৃণমূল। সরকার গড়বে কী ভাবে? কংগ্রেস তো এ বার ‘হাফ সেঞ্চুরি’ও করতে পারবে না। ৫০-এরও কম আসন পাবে। এরা সরকার কী ভাবে গড়বে? সরকার একমাত্র গড়তে পারে বিজেপি।বৃহস্পতিবার তেহট্টেই সভা করে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ছিলেন বিদায়ী সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। তেহট্টের সভা থেকে একাধিক ইস্যুতে মমতা আক্রমণ করেছেন মোদীকে।
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা মহুয়া মৈত্রের কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সমর্থনে প্রচার করলেন নরেন্দ্র মোদী।