নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে একটু স্বস্তির বৃষ্টির আশায় ধুমধামের সাথে করানো হলো দুটি ব্যাংকের বিয়ে এই ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করলেন শান্তিপুর তিন নম্বর রেলগেট সংলগ্ন ঘোষপাড়া এলাকায় বাসিন্দারা। জল সাজা থেকে গায়ে হলুদ,, এরপর ছাদনা তলায় বিয়ের পিঁড়িতে বসা,, সারা এলাকা জুড়ে বাজে বিয়ের সানাই,, আর আর বিয়ে বাড়িতে ভোজ হবেনা তা কি হয়। শতাধিক মানুষ খেলেন বিয়ের নেমন্তন্ন। ভাবছেন এই তীব্র তাপপ্রবাহে কার বিয়ে,, কার আবার এ যে ব্যাঙের বিয়ে। নদীয়ার শান্তিপুর তিন নম্বর রেলগেট সংলগ্ন ঘোষপাড়া এলাকায়
গতকাল ধুমধাম এর সাথে করানো হলো ব্যাঙের বিয়ে। বাঙালি মতে সাতপাক ঘুরিয়ে বিয়ের সমস্ত মন্ত্র উচ্চারণ করে বিয়ে দেওয়া হলো দুটি ব্যাঙের, কারন জানবেন। কারণ একটাই, একটু স্বস্তির বৃষ্টির আশায়। কথাই বলে ব্যাঙের বিয়ে দিলে নাকি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে,
কিন্তু বিয়ে শেষে যা বাস্তবায়িত হতেও দেখা গেল, বিয়ে শেষ হতে না হতেই শুরু হল স্বস্তির বৃষ্টি
আর এই কাজটা করলেন এলাকার মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে একটানা চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ, তারপর কাঠ ফাটার রোদ্দুর। ব্রহ্মাণ্ডে জল তলা নিতে, শুকিয়ে যাচ্ছে নদী নালা। এই পরিস্থিতিতে ৫০ বছরের রেকর্ড ছাপিয়েছে এই ২০২৪ সালে। গোটা নদীয়া জেলায় আজ পর্যন্ত ৪৪ ডিগ্রি ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নাজেহাল করে ছেড়েছে মানুষকে। সকালে ঘুম থেকে উঠে টপ টপ করে পড়ছে গায়ের ঘাম, আর গা জলনীতে অতিষ্ঠ প্রত্যেকটা মানুষ।
এখন প্রত্যেকের মুখে মুখে একটাই কথা অবশেষে নামলো স্বস্তির বৃষ্টি, যদিও গতকাল ওই এলাকায় ব্যাঙের বিয়ে দেখতে শান্তিপুরের বাইরে থেকেও প্রচুর মানুষ ভিড় করে। কারণ আর পাঁচটা বাঙালির মত সম্পূর্ণ বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল, আর তাতেই মুগ্ধ করেছিল মানুষকে।
এই বিয়েতে নেমন্তন্ন ছিল প্রায় দু থেকে আড়াইশো জনের, শিকারি খাবার তালিকায় ছিল, মাছ ডাল পটল চিংড়ি চাটনি পাপড় দই মিষ্টি, এই ব্যাঙের বিয়ে বিষয়ে এলাকার মানুষ কি জানালেন শোনাবো আপনাদের।