বন্ধ হয়ে গেছে রেশন,পাননি বার্ধক্য ভাতা তাই ভোট দিতে অনীহা শতায়ু পরেশচন্দ্রের।

0
35

হলদিয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা :- তীব্র গরমের মধ্যেও বাড়ির বাইরে বসে শুকনো নারকেল পাতা ছাড়াচ্ছেন।চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ছে জল।শরীর খুব ভাল নেই।কিন্ত বিশ্রাম নিতে চান না তিনি।বরং কাজের মধ্যেই আরাম পান ওই শতায়ু বৃদ্ধ।হলদিয়ার কিশমত শিবরামনগর গ্রামের বাসিন্দা ১০৫ বছর বয়সী পরেশচন্দ্র বেতাল।বৃদ্ধের দাবি রেশন বন্ধ হয়ে গেছে,মৃত্যুকালে পৌঁছে গেলেও বার্ধক্য ভাতা পেলাম না।তাই আর ভোট দেওয়ার ইচ্ছে নেই। এতদিন ভোট দিয়ে এসেছি অথচ সেভাবে সরকারি সুযোগ সুবিধা কিছুই পাইনি।তাই আর‌ ভোট দিতে চাইনা।কাকে ভোট দেবো? কেউ তো আর আমার কথা রাখলো না।জানা গেছে, বৃদ্ধ রেশন পেতেন।কিন্ত বর্তমানে রেশন দোকান রেশন তুলতে হলে হাতের আঙ্গুলের ছাপ চাই।বয়সের জন্য হাতের সব আঙ্গুল বেঁকে গেছে এবং হাতের রেখাও অস্পষ্ট হয়ে গেছে।তাই হাতের ছাপ মেলে না বলেই রেশন পান না শতায়ু বৃদ্ধ।একই কারনে ব্যাংকের বই নতুন করে না খুলতে পারায় বার্ধক্য ভাতাও মেলেনি। হলদিয়ার শতায়ু বৃদ্ধ ভোটার চাইছেন কখনো তাঁর কেন্দ্রের প্রার্থী কে সামনে পেলে জানাবেন “আমি কতদিন আর বাঁচবো,অত্যন্ত বার্ধক্য ভাতাটা আমাকে দেওয়া হোক।”