বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত প্রিন্স ক্লাব থেকে ময়ামারি পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার রাস্তা অত্যন্ত বেহাল হয়ে রয়েছে।

0
26

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত প্রিন্স ক্লাব থেকে ময়ামারি পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার রাস্তা অত্যন্ত বেহাল হয়ে রয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ প্রায় দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই রাস্তাতে কোন রিপেয়ারিংয়ের কাজ হয়নি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে প্রত্যেকবার ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় এই রাস্তাটি সংস্কার করা হবে কিন্তু ভোটপর্ব মিটে গেলেই আর কোন রাজনৈতিক নেতাদের এই এলাকায় দেখা পাওয়া যায় না বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। এই ৮ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে প্রায় ৬ থেকে ৭ টি গ্রাম পরে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ময়ামারি, চককাশি, ফতেপুর, চকহরিণা, গঙ্গাসাগর এবং ভাতসালা। জানা গেছে, এই রাস্তাটি তৈরি হয়েছিল পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের আমলে কিন্তু রাস্তা তৈরি হওয়ার পর পরবর্তীকালে এই রাস্তার আর কোনরকম সংস্কার হয়নি। সংস্কারের অভাবে এই রাস্তার বর্তমানে অত্যন্ত বেহাল দশা। সবচেয়ে অসুবিধা হয় বর্ষাকালে। গ্রামবাসীদের বক্তব্য হল, বর্ষাকালে রাস্তার অবস্থা এত বেহাল হয়ে পড়ে যে মনে হয় যেন রাস্তাতে নৌকো চলবে। যে কোনোরকম মুমূর্ষ রোগী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ এবং স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে প্রচন্ড অসুবিধা হয়। বর্ষাকালে এই রাস্তাতে কোনরকম যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এর আগে গ্রামবাসীরা বহুবার স্থানীয় পঞ্চায়েত, বালুরঘাট বিডিও অফিস সহ স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছেন এই রাস্তাটি যাতে সংস্কার করা হয়। গ্রামবাসীদের আক্ষেপ এত আবেদন নিবেদন করা সত্ত্বেও তাদের কথার কোন রকম কর্ণপাত করা হয়নি এবং রাস্তাটি যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থাতেই রয়েছে। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দপ্তরের সাথেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন গ্রামবাসীরা। ‘দিদিকে বলো’ দপ্তর থেকে গ্রামবাসীদের স্থানীয় ব্লক অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয় কিন্তু তারপরে ব্লক অফিসে যোগাযোগ করার পরেও কোনরকম কাজ হয়নি। গ্রামবাসীরা বালুরঘাট ব্লকের বিডিও কে এর ব্যাপারে লিখিত আবেদনপত্র জমা দেয় কিন্তু আবেদন পত্রের ভিত্তিতেও কোন রকম কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।
স্থানীয় গ্রামবাসী বিপ্লব মহন্ত বলেন, “আমাদের দাবি অবিলম্বে প্রিন্স ক্লাব থেকে শুরু করে ময়ামারী পর্যন্ত এই ৮ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার। আমরা চাই অবিলম্বে অর্থাৎ বর্ষাকাল নামার আগেই এই রাস্তার সংস্কার হোক। এর আগে আমরা দেখেছি লোকসভা ভোটের প্রচারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই এলাকায় প্রচার করতে এসেছিল। সেই সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের আমরা আমাদের সমস্যার কথা বলে এই রাস্তাটি সংস্কারের আবেদন করেছিলাম। তারা আমাদের কথাও দিয়েছিল এই রাস্তা অবিলম্বে সংস্কার করা হবে কিন্তু ভোট কেটে যাওয়ার পরেও রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারে কোনরকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। আমাদের দুর্ভোগ মেটানোর জন্য স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দল কারোরই কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। ভবিষ্যতে আমদের এই রাস্তা সংস্কার না হলে আন্দোলন করতে বাধ্য হব।”