মালদা, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ —পুরাতন মালদা শহর ও গ্রাম ঘেঁষে বয়ে গেছে বেহুলা নদী। এক সময় সারা বছরই নদীখাত দিয়ে বয়ে যেত জল। মালদা জেলার ঐতিহ্যবাহী নদী গুলির মধ্যে এটি ছিল অন্যতম বেহুলা নদী । প্রাচীন বাংলার ইতিহাসেও উল্লেখ ছিল এই নদীর নাম। কিন্তু বর্তমানে এই নদী ছোট ছোট নালার মত আকার ধারণ করেছে। পুরাতন মালদার নারায়ণ পুর এলাকার শিল্পতালুকের কলকারখানা থেকে নির্গত বর্জ্য সরাসরি বেহুলা নদীতে মিশছে। ফলে দুর্গন্ধে নদীর ধারে যেতে পাড়ছেন না পুরাতন মালদা ব্লকের মঙ্গলবাড়ী অঞ্চলের জলঙ্গা, মৌলপুর সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা। একটা সময়ে নদী খাত দিয়ে সারাবছর জল বয়ে যেত। আশেপাশের গ্রামের বাসিন্দারা নিয়মিত ব্যবহার করতেন এই নদীর জল। এই নদীর জলের উপর ভরসা করেই অনেকে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা নিয়মিত মাছ ধরতেন। কিন্তু এখন সেইসব ইতিহাস। এই নোংরা জল থেকে এলাকায় রোগের উপদ্রব বাড়ছে। আগের মত আর বেহুলা নদীর জল ব্যবহার করা যাচ্ছে না। আশেপাশে গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, নারায়ণপুর এলাকায় যে সমস্ত কলকারখানা রয়েছে তার দূষিত বর্জ্য সরাসরি মিশছে বেহুলা নদীতে। ফলে বিষাক্ত হয়ে উঠেছে বেহুলা নদীর জল। এর ফলে নদীর জল আর ব্যবহার করা যায় না। কোন কারণবশত ছেলেমেয়েরা নদীর জলে হাত পা ধুয়ে নিলে চুলকানি হয়ে যায়। অন্যদিকে এই দুষিত জল থেকে মশা মাছির উপদ্রব বাড়ছে। মশারি টাঙানো ছাড়া বাড়িতে থাকা যায় না। তাই অবিলম্বে এই বেহুলা নদী সংস্কারের দাবি তুলেছেন তারা পুরাতন মালদা ব্লকের মঙ্গলবাড়ী অঞ্চলের জলঙ্গা এবং মৌপুর গ্রামের বাসিন্দারা
Home রাজ্য উত্তর বাংলা বিলুপ্তির পথে বেহুলা নদী!মনসামঙ্গল কাব্যের বেহুলা নদীর কথা তো শুনেছেন তার অস্তিত্ব...