৪৮৭ নাম্বার পেয়ে জয়দীপ এখন রাজ্যের মেধাতালিকায় দশম স্থান অধিকার করল।

0
69

দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ– উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বালুরঘাট হাই স্কুলের জয়দীপ সামন্ত ৪৮২ নম্বর পেয়েছিল। এই নম্বার পেয়ে খুশি না হয়ে সে তার নাম্বার রিভিউ করতে দিয়েছিল। রিভিউ করার পর তার প্রাপ্ত নাম্বার বেড়ে হলো ৪৮৭। স্বভাবতই ৪৮৭ নাম্বার পেয়ে জয়দীপ এখন রাজ্যের মেধাতালিকায় দশম স্থান অধিকার করল। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জয়দীপ জানালো, “আমার দুটো বিষয়ে রিভিউ করার পর নম্বর বেড়েছে। এই দুটি বিষয় হল বাংলা এবং ইতিহাস। যখন আমার উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল বেরিয়েছিল তখনই আমি ঠিক করে নিয়েছিলাম যে আমি রিভিউ করতে দেবো। আমি জানতাম যে আমার নাম্বার অবশ্যই বাড়বে। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এই রিভিউ এর রেজাল্ট এসেছে। সব মিলিয়ে আমি এখন রাজ্যের মেধাতালিকায় দশম স্থান অধিকার করলাম। আগে আমি ৪৮২ নাম্বার পেয়েছিলাম। এখন সেই নাম্বার বেড়ে হলো ৪৮৭।”
প্রসঙ্গত শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে জয়দীপ পরীক্ষা দিয়েছিল। সে দীর্ঘদিন ধরে অঙ্কিওলাইসিস স্পন্ডালাইটিস রোগে আক্রান্ত। দীর্ঘক্ষণ একসময় বসে থাকতে পারে না জয়দীপ। বর্তমানে ব্যাঙ্গালোরের চিকিৎসকের ওষুধ খেয়ে জয়দীপ ভালো আছে। বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশনে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করতে আগ্রহী জয়দীপ সেখানে ইতিহাস বিষয়ে অনার্স পড়ে পরবর্তীকালে ইউপিএসসি পরীক্ষা দিয়ে আইএস হতে চায়।
জয়দীপের বাবা অসিতকুমার সামন্ত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী এবং মা অঞ্জনা সামন্ত গৃহবধূ। দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট জয়দীপ কুইজ করতে খুব ভালোবাসে।
সে জানালো, “আমি ক্লাস ইলেভেনে থাকতে যুব সংসদ প্রতিযোগিতায় কুইজ এ মালদা ডিভিশনে আমি আর আমার বন্ধু দিব্যতনু চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। তাছাড়া আমি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কুইজ সংস্থার সঙ্গে যুক্ত আছি।”
বাবা অসিত কুমার সামন্ত জানালেন, “আমি ছেলের ফলাফলে অত্যন্ত খুশি। উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল বেরোনোর পর ও বলেছিল আমার নম্বর বাড়বে। তাই ও রিভিউ করতে দিয়েছিল। ও রাজ্যের মেধাতালিকায় বর্তমানে ৪৮৭ নাম্বার পেয়ে দশম স্থান অধিকার করলো। আমি আমার পরিবার এবং প্রতিবেশীরা তার এই সাফল্যে প্রচন্ড খুশি।”