তীব্র গরমে কদর বেড়েছে মৌসুমী রসালো ফল তালের শাঁসের।

0
29

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  তাল একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ফল। ভাদ্র মাসে পাকা তালের বড়া একটি অত্যন্ত সুস্বাদু খাবার। কিন্তু এখন বাজারে কচি তালের শাঁস খুবই চোখে পড়ে। জানেন কী এই তালের শাঁসেই রয়েছে এমন কিছু পুষ্টিগুণ, যা শরীরে পক্ষে খুবই উপকারি। কবির ভাষায় “তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে উঁকি মারে আকাশে। ” -তালগাছ আকাশে উঁকি মেরে সূর্যের তাপ শোষণ করলেও এর কচি তালের শাঁস কিন্তু বেশ রসালো ঠান্ডা ও তৃপ্তিদায়ক। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষের জনজীবন। দিনের এই তাপ থেকে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে রসালো তালের শাঁসের জুড়ি মেলা ভার। নদীয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় গ্রামের রাস্তার দু’পাশে কচি তালের শাঁসের পশরা নিয়ে হাজির অনেকেই। তীব্র গরমে কদর বেড়েছে মৌসুমী রসালো ফল তালের শাঁসের।রোদের তাপমাত্রা যত বাড়ছে ততই চাহিদা বাড়ছে এই ফলের। এ তীব্র গরমে অস্থির পথচারীদের এক মুহূর্তের জন্য হলেও তৃষ্ণায় স্বস্তি এনে দিচ্ছে কচি তালের শাঁস। তালের শাঁস শরীরের জন্য খুবই উপকারি একটি ফল। গরমের দিনে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ জল শূন্যতা দূর করে। এছাড়া ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, এ, বিকমপ্লেক্সসহ নানা ধরনের ভিটামিন রয়েছে। তালে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। কচি তালের শাঁস রক্তশূন্যতা দূর করে। চোখের দৃষ্টি শক্তি ও মুখের রুচি বাড়ায়।তবে এক সময় এ অঞ্চলের বিভিন্ন রাস্তার পাশে কিংবা বসতবাড়িতে অসংখ্য তাল গাছের দেখা মিলত। কালের বিবর্তণে দিনদিন গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী এসব তাল গাছ বিলুপ্তির পথে যাচ্ছে। শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতি, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সবার কাছে তালের শাঁস প্রিয়। আবার মৌসুমি ফল বলে শখের বশেই অনেকে এটি কিনে খায়। ১০ টাকায় ৩-৪ টি তালের শাঁস বিকোচ্ছে। দামেও বেশ সস্তা, তাই বাজারে এর কদরও বেশি। সব মিলিয়ে গরম বাড়ছে তাল বিক্রেতাদের মুখে ততই হাসি ফুটছে।