অনুমতি থাকা শর্তেও সভা করতে দিলো না বর্ধমানের কালেক্টরেট স্টাফ রিক্রিয়েশন ক্লাবের কর্মকতারা।

0
66

পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ-অনুমতি থাকা শর্তেও সভা করতে দিলো না বর্ধমানের কালেক্টরেট স্টাফ রিক্রিয়েশন ক্লাবের কর্মকতারা।এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় বর্ধমান কোর্ট চত্বরে। ঘটনাস্থলে হাজির হন বর্ধমান থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।

সাম্প্রতিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভারত সেবাশ্রমের মহারাজের বিরুদ্ধে কটুক্তি করার প্রতিবাদে গোটা রাজ্য জুড়ে সনাতনী দের নিয়ে চলছে মহা প্রতিবাদ মিছিল। অন্যদিকে অনুমতি থাকা শর্তেও শহরের বুকে সাধু সন্ন্যাসীদের সভা করতে না দেওয়ায় ক্লাবের পাশাপাশি শাসক দলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালো শহরের সাধু সন্ন্যাসীরা।

এই বিষয়ে সনাতনী ঐক্য মঞ্চের তরফে বর্ধমান জেলার সন্ন্যাসী সমাজ একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। সভার স্থান নির্ধারিত করা হয় শহর বর্ধমানের কোর্ট কম্পাউন্ড সংলগ্ন কালেক্টরেট স্টাফ রিক্রিয়েশন ক্লাবে। অভিযোগ সেই সভা করতে দেওয়া হলো না সাধু-সন্তদের। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের প্রদেশ সংযোজক সুদীপ্ত চক্রবর্তীর অভিযোগ, হঠাৎ করে স্টাফ রিক্রেশন ক্লাব জোড়পূর্বক আমাদের প্রোগ্রাম বন্ধ করে দেয়। রাজনৈতিক প্রোগ্রামের তকমা দিয়ে হল দেবেন না বলে হল কর্তৃপক্ষ হল বন্ধ করে চলে যান। হল আমরা পূর্বেই বুকিং করেছিলাম। আমাদের কাছে তার কাগজও আছে। চলতি মাসীর ২২ তারিখ আমরা হলটি বুকিং করেছিলাম। তিনি আরো বলেন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে আমাদের কোনো আলোচনা ছিল না। প্রোগ্রামটা ছিল সাধু-সন্তদের বিষয়ক।
হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সেবক সমিতির সদস্যা অনন্যদে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী সনাতনী হিন্দুদের উপর বারবার আক্রমণ করছেন। ভারত সেবা সংঘের কার্তিক মহারাজকে কটুক্তি করেছেন। আমি একজন ভারত সেবা সংঘের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দুঃখ প্রকাশ করছি। মুখ্যমন্ত্রীর উক্তির প্রতিবাদে সাধু-সন্তদের একটি কর্মসূচি ছিল, সেই কর্মসূচি জোরপূর্বক বন্ধ করে দেওয়া হলো।
পাশাপাশি হল কর্তৃপক্ষ হল বুকিং এর কথা অস্বীকার করেন।