জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত প্রোমোটারদের বিরুদ্ধে।

0
31

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আছে তো প্রোমোটারদের বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই ব্যক্তির অভিযোগ অভিযুক্তরা সকলেই নদীয়ার শান্তিপুর পৌরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষের ঘনিষ্ঠ। জানা যায় শান্তিপুর পৌরসভার কুটির পাড়া লেন এলাকার বাসিন্দা সোমনাথ প্রামানিক। বহুদিন তার পরিবার প্রায় ৫০ থেকে ৬০ বছর ধরে ওই এলাকার একটি বাড়িতে বসবাস করে। ওই বাড়ির যিনি মালিক তিনি কলকাতায় বসবাস করেন। কিন্তু বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই কুটিরপাড়া এলাকার কিছু প্রোমোটার নকল নথিপত্র বানিয়ে ওই জমিটি তাদের নিজেদের বলে দাবি করতে থাকেন। এরপরেই ২০০৭ সাল থেকে আদালতে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি মামলা চলছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি জানান আদালত এখনো কাউকেই ওই জমির মালিক বলে ঘোষণা করেনি। যেহেতু আমরা ৫০ থেকে ৬০ বছর ধরে ওই জমিতে বসবাস করছি সেহেতু আমাদের দখলেই রয়েছে ওই জায়গাটি। কিন্তু এর আগে থেকেই ওই জায়গাটি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তৃণমূল আশ্রিত প্রোমোটাররা। আজ সকালে আমি যখন আমার জমির উপর একটি মরা গাছের ডাল কাটতে গিয়েছিলাম ঠিক তখনই ওই এলাকার তৃণমূল আশ্রিত প্রোমোটার চন্দন মুখার্জি সহ আরো বেশ কয়েকজন তাকে বাড়ি থেকে বের করে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারতে থাকে। এরপর ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তি বর্তমানে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিষয়টি জানতে পেরে হাসপাতালে পৌঁছায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে আহত ব্যক্তির কাছ থেকে বিবরণ শুনে বাপ্পা শর্মা ওরফে নেপা নামে এক প্রোমোটারকে আটক করে।
তবে আহত ব্যক্তির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ। তিনি বলেন রাজনীতির বাইরে ব্যক্তিগতভাবে কে কি করল সেটা আমার জানার বিষয় নয়। প্রশাসন রয়েছে সঠিক তদন্ত করবে। যারা অভিযুক্ত তারা অবশ্যই শাস্তি পাবে।
অন্যদিকে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করার তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি। ঘটনায় নাম আসা একাধিক প্রোমোটারকে ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে এই ঘটনা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন শান্তিপুর বিজেপির মন্ডল সভাপতি অমিত বৈরাগী। তিনি বলেন শুধু শান্তিপুর নয় গোটা রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের মধ্যে দুষ্কৃতীরা কোথাও জমি দখল কোথাও বা ফলন্ত গাছ কেটে নেওয়ার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। শান্তিপুরে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। তৃণমূল আসিত যে সমস্ত দুষ্কৃতিরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি এই ধরনের ঘটনা যদি আগামী দিনে ঘটে আমরা সাধারণ মানুষের পাশে থাকবো এবং এর তীব্র প্রতিবাদ জানাবো।