প্রাচীর দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে গন্ডগোল, একে অপরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি দুই পক্ষের ছয়জন।

0
48

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- প্রাচীর দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে গন্ডগোল।একে অপরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ।হাসপাতালে ভর্তি দুই পক্ষের ছয়জন।ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সন্ধ্যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার হরিশ্চন্দ্রপুর হাই স্কুল পাড়ায়।দুই পক্ষই হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,স্থানীয় বাসিন্দা সুভাষ ঠাকুর নিজের জমিতে ইটের প্রাচীর দিচ্ছিল।সেই সময় প্রতিবেশী দীপক রায় ও তার পরিবারের লোকেরা কাজে বাধা দেয়।অভিযোগ,পঞ্চায়েতের রাস্তা দখল করে প্রাচীর দিচ্ছিল সুভাষ বিরুদ্ধে ।আর এতেই দুই পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল বেধে যায়।এরপর তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।সুভাষ ঠাকুর ও তার পরিবারের লোকেরা দীপকে ঘিরে ধরে এবং লাঠি,লোহার রড ও কাঠের দন্ড দিয়ে বেধরক মারধর করে।স্বামীকে বাঁচাতে তার স্ত্রী ছুটে আসলে তাকেও মারধর করা হয়।এমনকি মিস্ত্রির খুরনি দিয়ে দীপকের মাথায় মেরে তার কপাল ফাটিয়ে দেয়।অপরদিকে সুভাষকেও দীপক ও তার পরিবারের লোকেরা বেধরক মারধর করে।সুভাষকে বাঁচাতে তার পরিবারের লোকেরা ছুটে আসলে তাদেরকে মারধর করা হয়।সুভাষ বলেন,’আমি নিজের জমিতে প্রাচীর দিচ্ছিলাম।গায়ের জোড়ে দীপক ও তার পরিবারের লোকেরা কাজে বাধা দেয়।প্রাচীর ভাঙচুর করে দেন।আমার বয়স্ক মা সহ মোট চারজনকে প্রচন্ড মারধর করেছে। বর্তমানে সবাই হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
অপরদিকে দীপক অভিযোগ করে বলেন,’আমার বাড়ির সামনে সুভাষ পঞ্চায়েতের রাস্তা দখল করে প্রাচীর দিচ্ছিল।এই কথাটা বলতে গেলে তারা আমাকে ও আমার স্ত্রীকে বেধরক ভাবে মারধর করে।