নিজের উদ্যোগে ঝড়ে বিধ্বস্ত একাধিক পরিবারকে ত্রাণ বিতরণ পঞ্চায়েত সমিতির মৎসের কর্মাধ্যক্ষা।

0
35

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  রেমাল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ইতিমধ্যে নদীয়া জেলা দিয়ে বয়ে গেছে তীব্র ঝড়ো হওয়া এবং বৃষ্টি।আর তাতেই নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে গতকাল যখন তীব্র ঝড়ো হাওয়া বইছে তখন সাধারণ মানুষের যে সমস্ত কাচা বাড়ি রয়েছে প্রায় অনেক বাড়িরই টিনের চাল উড়ে গেছে। বৃষ্টির জলে ভেসে গেছে সারা ঘর। ভিজেছে কাপড় জামা বিছানা পত্র। কোলের ফুটফুটে শিশুকে বৃষ্টি থেকে বাঁচাতে কোনরকমে অন্যত্র সরে গিয়েছেন বাড়ির বড় সদস্যরা।বেগ পেতে হয়েছে বৃদ্ধ মানুষদেরও। তাই এবার যে সমস্ত পরিবার কালকের ঘটে যাওয়া ঝোড়ো হওয়ায় কারণে বিপর্যস্ত হয়েছেন, তাদের পাশে দাঁড়ালেন শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষা প্রিয়া সরকার গোস্বামী । গতকাল ঝড়ের মধ্যেই এলাকার বাড়ি বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছিলেন প্রিয়া সরকার।সেই মোতাবেক কারা এই ঝড়ে বিপর্যস্ত হয়েছেন তাদের নামের তালিকা নিজের হাতে তৈরি করেন তিনি। এরপর আজ নিজের উদ্যোগে শান্তিপুর ব্লকের বেলঘড়িয়া ২,বেলঘড়িয়া ১, গবার চর এলাকার প্রায় ৪৫ টি পরিবার, এবং গয়েশপুর পঞ্চায়েতের তিনটি পরিবারকে ত্রিপল দিয়ে সাহায্য করেন। যদিও আর্ত মানুষদের পাশে থেকে তাদের একটু কষ্ট লাঘবের জন্যই তার এই প্রয়াস বলে তিনি জানান তিনি। তিনি আরও জানান প্রথমে তিনি একজন সমাজসেবী হিসাবেই সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত ছিলেন। তবে বিগত এক বছর হল তিনি দলীয় অধিকার বলে, বর্তমানে জনতার সমর্থনে শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির মৎসের কর্মাধ্যক্ষা হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন। যেহেতু তিনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত, তাই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা তার কাছে গুরু বাক্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় কর্মীদের সবসময় মানুষের দুঃখে পাশে দাঁড়াতে বলেছেন। আর সেই শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে এবার ঝড়ে বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি জনসেবা করলেন বলেই জানান। যদিও এই বিপর্যয়ের মধ্যে যে সমস্ত মানুষ বিপর্যস্ত হয়েছিলেন, তারা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষার কাছ থেকে সাহায্য পেয়ে অনেকটাই খুশি।