পাচুটোলা গ্রামের আকাশ হোসেন নামে ২৬বছরের বিবাহিত এক তরুণ যুবক গত ২৮মে রাত্রি থেকে নিখোঁজ।

0
37

নিজস্ব সংবাদদাতা,  মালদা:–ধরমপুর অঞ্চলের বড় বাগান অর্থাৎ পাচুটোলা গ্রামের আকাশ হোসেন নামে ২৬বছরের বিবাহিত এক তরুণ যুবক গত ২৮মে রাত্রি থেকে নিখোঁজ,তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে,২৮মে রাত্রি পৌনে আটটা নাগাদ তার বাড়িতে এক যুবকের ফোন আসে , তার ফোন পেয়ে আকাশ হোসেন বাড়ি মোবাইল হাতে নিয়ে একটি লুঙ্গি পরে খালি গায়ে বেরিয়ে যায়, স্বামীর আসতে বিলম্ব হচ্ছে দেখে তার স্ত্রী সাফিলিন খাতুন ঠিক সাড়ে নয়টায় তাকে ফোন করেন, কিন্তু বার বার
ফোন করা সত্ত্বেও রিং হলে ফোন রিসিভ হয়নি ,তার স্বামীর মোবাইল থেকে। শোকাকুলা অসহায় স্ত্রী সাফিলিন খাতুন তার স্বামীকে বার বার ফোন করতে থাকেন,কিন্তু কোনো ফোনে কোনো রেসপন্স পাননি।
এমনকি সকাল ৯টা পর্যন্ত বার বার স্বামীর মোবাইলে ফোন করে ফোনের রিং ছাড়া আর কোনো শব্দ শুনতে পাননি,এবং 9টার পর ফোন করলে মোবাইল সুইচড অফ শোনায়।
সকাল হলেই অর্থাৎ ২৯ মে সাফিলিন খাতুন তার আত্মীয় স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীকে তার স্বামী নিখোঁজের খবর শোনান,খবর শুনে তারা নিখোঁজ আকাশ হোসেনকে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়েন,সারাদিন খোঁজে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে মানিকচক থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করেন,
২৮তারিখ রাত্রি ৯টায় নাগাদ মানিকচক থানায় জিডি করেন,
আকাশ হোসেনের স্ত্রী সাফিলিন খাতুন জানান,তার স্বামী অন্ধ্রপ্রদেশে কলার কাজ করত,এমনকি সেদিন রাত্রে তার স্বামীর মোবাইলে যে যুবকের ফোন আসে ,সে আকাশের সাথে অন্ধ্রপ্রদেশে কাজ করত ,এমনকি তার স্ত্রী এ ও জানান তাদের সন্দেহ সেই ফোন করা যুবকের প্রতি,কারণ তার ফোন আসার পর,তার ডাকেই তাঁর স্বামী বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন,এমনকি অভিযুক্ত
ব্যক্তি অন্ধ্রপ্রদেশে কাজের কিছু টাকা পেত তার স্বামীর কাছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিষয়েও মানিকচক
থানায় বিস্তারিত জানান সাফিলিন খাতুন ।
ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে মানিকচক থানার পুলিশ।
আকাশ হোসেনের স্ত্রী সাফিলিন খাতুনের দাবি,
সামনে ঈদ,তাদের পরিবারে ৩টি ছোট ছোট সন্তান, স্বামীকে ছাড়া কিভাবে ঈদ করবেন,একথা বলতে বলতে কান্নায় ভেংগে পেলেন তিনি, স্বামী বিরহে তিনি এতটাই কাতর যে, হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে গেলেন,কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরলে তিনি বলেন প্রশাসনের উপর
তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে যে তিনি তার স্বামীকে ফিরে পাবেন, কিন্তু সামনে ঈদ, অপরদিকে স্বামীকে
খুঁজে পেতে বিলম্ব হচ্ছে ,তাই তিনি হাত জোড় করে
প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার স্বামীকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিতে দয়াকরে সহযোগিতা করুন।