নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পেয়ে প্রতিবেশী দের মিষ্টি বিতরণ, খোদ বিজেপি সংসদের গ্রামে।।।

0
55

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  শান্তিপুর ব্লকের আরবান্দি দু’নম্বর পঞ্চায়েতের আরপাড়া গ্রামের শ্রীকৃষ্ণ সরকার। তার বয়স বর্তমানে ষাটের কাছাকাছি আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে মায়ের হাত ধরে দুই ভাই এবং এক বোনকে নিয়ে শ্রীকৃষ্ণ বাবু এসেছে আসেন ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক বিভিন্ন অনুশাসনের কারণে বাংলাদেশে না থাকতে পেরে। বাড়ি এবং চাষবাসের জন্য কিছুটা জমি কিনে তারা বসবাস করতে শুরু করেন এবং ওই বছরেই শ্রীকৃষ্ণ বাবুর বাবা ঈশ্বর অবিনশ্বর সরকার পাকাপাকিভাবে চলে আসেন। এরপর ভোটের কার্ড রেশন কার্ড ইলেকট্রিক পরবর্তীতে আধার কার্ড এভাবেই নানান পরিচয় পত্র হলেও সম্প্রতি নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর তারা যথেষ্ট এই দুশ্চিন্তায় ছিলেন কিন্তু ভরসা রেখেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের উপর। অনলাইন পোর্টালে আবেদনের মাত্র এক মাসের মধ্যেই হাতে পেয়ে গেলেন শংসাপত্র আর তাতেই খুশি পরিবার। শুধু তাই নয় দুশ্চিন্তায় থাকা বাংলাদেশ থেকে আসা হাজার হাজার মানুষ এখন তার স্বপ্ন সত্যি হওয়াকে দেখে নতুন করে নাগরিকত্ব আবেদনে আগ্রহী হচ্ছেন। শংসাপত্র হাতে পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে একই এলাকায় বাড়ি রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের জয়ী বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার সহ আরএসএস এবং বিজেপি কর্মকর্তা সহ সকল নাগরিকদের মিষ্টি খাওয়ান তারা।
শ্রী কৃষ্ণ বাবু নিজের পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য আবেদন করবেন, তিনি বলেন নিজেরটা প্রথম দেখে নিলাম কোন আইনি সমস্যা বা দীর্ঘময়ে মেয়াদী পদ্ধতি কিনা। তবে অত্যন্ত সহজ এবং আইনি কোনো জটিলতা নেই মাত্র এক মাসের মধ্যেই শংসাপত্র হাতে পাব তা ভাবতেই পারিনি। সকলের উদ্দেশ্যে এই বার্তা দেবো আইন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার কে সহযোগিতা করতে। কারণ এই সরকার কখনো তার নাগরিকদের সমস্যায় ফেলবেন না । তবে যে দেশে বাস করব সেই দেশের অনুমতি সহ থাকাই নিরাপদ।
খুশিতে শ্রীকৃষ্ণ বাবুর পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিবেশীদের মিষ্টি বিতরণ করলেন। প্রতিবেশী আবেদনকারীরাও জানালেন তারাও খুশি চাক্ষুষ এই সার্টিফিকেট দেখে। কারণ একসময় এরা যে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন নাগরিকত্বের আবেদন করলে বিভিন্ন কাগজপত্র সংক্রান্ত জটিলতায় ঝামেলায় পড়ার সম্ভাবনা থাকবে কিন্তু তা একেবারেই নয়।
শ্রীকৃষ্ণ বাবুর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়১৭ই মে তারিখে অনলাইন পোর্টালে আবেদন আর তার মাত্র দশ দিনের মধ্যেই মে মাসের ২৭ তারিখে হেয়ারিং এ ডাকে কৃষ্ণনগর পোস্ট অফিসে এরপর শংসাপত্র হাতে পান তিনি।
সংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, আফগানিস্তান পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ আপাতত এই তিন দেশ থেকে আশা নাগরিকদের খুব সহজ পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয় সরকার এই নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু করেছে যা অতীতে কোন রাজনৈতিক দল ভোটের স্বার্থে করতে পারিনি। কারণ মোদীজি একমাত্র ডিজিটাল ইন্ডিয়া বানিয়েছে যেখানে সমস্ত তথ্য সরকারের কাছে সরাসরি থাকবে কোনো দালাল ছাড়াই। এর আগে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের রেশন কার্ড ভোটের কার্ড আধার কার্ড এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা আদায় করেছে ভোট নিয়েছে জোর করে কত অত্যাচার করেছে তা নাগরিকাই জানে।