একাংশ ছাত্রের সাথে শান্তিপুর কলেজের ইতিহাস অধ্যাপকের বচশা তা থেকে হাতাহাতি এবং অবশেষে ছাত্রদের হাতে মাথা ফাটল অধ্যাপকের।

0
46

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- একাংশ ছাত্রের সাথে শান্তিপুর কলেজের ইতিহাস অধ্যাপকের বচশা তা থেকে হাতাহাতি এবং অবশেষে ছাত্রদের হাতে মাথা ফাটল অধ্যাপকের। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর কলেজের। আক্রান্ত ইতিহাসের অধ্যাপক রামকৃষ্ণ মন্ডলের দাবি, সম্প্রতি কলেজের বাউন্ডারি প্রাচীর নির্মাণে, কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী নির্দেশে তিনি ওই কাজে দেখাশোনা করতেন প্রায়শই। তার কাছে ছাত্রদের কয়েকজন এবং বহিরাগত কয়েকজনের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যেই হুমকি আসতো তোলাবাজির টাকা চেয়ে। এমনকি বাড়িতে গিয়েও পর্যন্ত হুমকি দিয়ে আসা হয়েছে কাজের বরাত তাদের পাইয়ে দেওয়ার জন্য। এ বিষয়ে বিধায়ক কে এমন কি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও সুবিচার চেয়েছেন ওই অধ্যাপক।
আজ একই দাবিতে তারা অশ্রাব্য গালিগালাজ শুরু করে কলেজের মধ্যেই। এমনকি কলেজ কর্মচারীরা প্রতিবাদ করতে গেলেও তাদের মধ্য থেকেও একজনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে কলেজ গেট অবরুদ্ধ করে ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে, ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। তাদের দাবি রাইমা ঘোষ নামে এক ছাত্রীর হাত ধরে টেনে লাইব্রেরীর নির্জনে নিয়ে গিয়ে কু প্রস্তাব দিয়েছেন শিক্ষক রামকৃষ্ণ মন্ডল। আর এ বিষয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে কলেজের বেশ কিছু ছাত্র ছাত্রী। তাদের দাবি অবিলম্বে ওই অধ্যাপকের অপসারণ এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তারা। যদিও ছাত্রদের বিক্ষোভের বিষয়ে অধ্যাপক জানান, এ সমস্ত পুরো সাজানো বিষয়, আমি কলেজ প্রিন্সিপালের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি, কোনোভাবেই যেন ওই সি সি ফুটেজ নষ্ট না হয়। কারণ সেখানেই যাবতীয় প্রমাণ আছে প্রকৃত ঘটনা কি আছে, একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ ধরনের নোংরা মিথ্যে ঘটনা সাজানো এবং বহিরাগত দুষ্কৃতী কলেজের মধ্যে নিয়ে এসে কর্তব্যরত অধ্যাপক কে এভাবে অকথ্য গালিগালাজ শাসানো ফেলে মারার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে শান্তিপুর থানায় ওই ৪ ছাত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যাপকের স্ত্রী তাদের পরিবারের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন, তিনি বলেন, এই দুষ্কৃতীদের পেছনে একজন রয়েছে তার নাম তদন্তের স্বার্থে এখনই বলতে পারছি না, তবে শান্তিপুর থানায় তদন্তকারী অফিসারের কাছে নিশ্চয়ই জানাবো।
তবে অধ্যাপককে নিগ্রহ নিয়ে অভিযুক্ত সকল ছাত্রই তোলাবাজির এই অভিযোগ অস্বীকার করে। তাদের দাবি মূলত নোংরা বিষয় ধামাচাপা দিতে তোলাবাজির মিথ্যে অভিযোগ হচ্ছে। একটা বচসা তৈরি হয়েছিল ঠিকই সেখানে ওই হট্টগোলের মাঝে স্যার নিজেই পড়ে যান এবং দরজায় লেগে মাথায় কিছুটা আঘাত প্রাপ্ত হন। এক্ষেত্রে কেউ স্যারের গায়ে হাত তোলেন নি।
শান্তিপুর কলেজের প্রিন্সিপাল সচিস্মিতা সান্যাল জানান, একজন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ তিনি বিশ্বাস করেন না, আর আজকের ঘটনা তো ঘটেইনি কারণ ওই অধ্যাপক লাইব্রেরীতে যাননি। তিনি স্টাফ রুমে বসেছিলেন, তবে বিষয়টি গভর্নিং বডির সভাপতি এবং থানায় জানিয়েছি, পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। তবে এক্ষেত্রে শান্তিপুর কলেজের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দিয়ে সহযোগিতা করা হবে।
গভর্নিং বডি সভাপতি তথা বিধায়ক ব্রজ গোস্বামী বলেন, ছাত্রদের সাথে শিক্ষকের কি নিয়ে সমস্যা তা জানেন না, তবে তোলাবাজির কোনো বিষয় নয়, কারণ টেন্ডার দেখাশোনা করে অন্য একটি কমিটি। তবে পুলিশ প্রশাসন খতিয়ে দেখুক যদি অধ্যাপক দোষী হয়ে থাকে তাহলে তিনি শাস্তি পাক। আর যদি ছাত্ররা অপরাধ করে থাকে তারা শাস্তি পাবে। এক্ষেত্রে আমার আলাদাভাবে কিছু বলার নেই। তবে কলেজের এই ঘটনায় তদন্তে শান্তিপুর থানার পুলিশ।