নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- —প্রথমে গায়ে আগুন পরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে ব্লেড দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা কিশোরীর।শুক্রবার ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সালালপুর গ্রামে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।কিশোরীকে উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান।বর্তমানে সেখানে চিকিৎসা চলছে কিশোরীর।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,হরিশ্চন্দ্রপুর থানার রশিদাবাদ অঞ্চলের এক দশম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে রং নম্বরে ফোনে পরিচয় হয় সালালপুর গ্রামের এক কিশোরের।সে পরিযায়ী শ্রমিক।দিল্লিতে সেলাই কারখানায় কাজ করেন।দীর্ঘ আট মাস ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।রাত জেগে চলত তাদের গল্প।
ছেলে কথা দিয়েছিল প্রথিবীর কোন শক্তি তাদেরকে আলাদা করতে পারবে না।
বাড়ি ফিরে আসলেই তাকে বিয়ে করবে।
৪ জুন দিল্লি থেকে বাড়ি ফেরার সময় কিশোর তার প্রেমিকাকে ফোন করে জানায়,যদি আমাদের ভালোবাসা সত্যি হয়ে থাকে তাহলে তুমি নিজের গায়ে আগুন দিয়ে দেখাও,না হলে আমি ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করব।আর এই কথার পরিপ্রেক্ষিতেই মেয়েটি তার নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।পরিবারের লোকের প্রচেষ্টায় তার প্রাণ রক্ষা হলেও একদিন পর সকালে গিয়ে সেই নাবালিকা প্রেমিকা ওই কিশোরের বাড়ির সামনে বিয়ের দাবিতে ধরনায় বসে পড়েন।হাতে ব্লেড নিয়ে সেখানে হুমকি দেন অবিলম্বে স্ত্রীর মর্যাদা না দিলে তিনি এখানেই আত্মহত্যা করবেন।খবর পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ সেখানে হাজির হয়।এরপরই ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান।এখন ওই কিশোর তার বাড়ির আপত্তির কারণে তার প্রতিশ্রুতি থেকে পিছিয়ে আসেন এবং বিয়েতে না করে দেন।