নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ১২ জুন:-
মালদা কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের আলিপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের শেরশাহী মিস্ত্রি টোলার চার বছর বয়সী এক শিশুর শরীরে H9N2 ভাইরাস ধরা পড়ল। এর আগে ২০১৯ সালে শেষ বারের মতো বাংলাদেশের একজনের শরীরে এবং ভারতের পুনেতে এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল। এরপর মালদার কালিয়াচকে চার বছর বয়সী এই শিশু পুত্রের শরীরে মিলল H9N2 ভাইরাস। এই বিষয়ে মালদা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্বর এবং পেটে ব্যথা নিয়ে গত ২৬ শে জানুয়ারি মালদা কালিয়াচকের চার বছরের এক শিশু পুত্র ভর্তি হয়েছিল মালদা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে। মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় একমাস চিকিৎসা চলার পর মার্চ মাসে তাকে কলকাতার নীলরতন হাসপাতালে রেফার করা হয়। নীলরতন হাসপাতলে ওই শিশুর সমস্ত ধরনের পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ না আসায় শেষে ওই শিশুর স্যামপেল পাঠানো হয় পুনেতে। ওই শিশুর রিপোর্ট রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের হাতে এসে পৌঁছায় আজ। সেখানে চার বছর বয়সী ওই শিশুর শরীরে এইচ৯এন২ (9N2) ভাইরাস ধরা পড়ে। এই ভাইরাস সাধারণত দেখা যায় না। এর আগে মহারাষ্ট্রে একবার ধরা পড়েছিল। সাধারণত এই ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমণ হয় না। ওই শিশুর পরিবারে ১৪ জন সদস্য রয়েছে। সকল সদস্যের পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এই ধরনের ভাইরাস ধরা পড়েনি। ওই শিশুটি এবং পরিবারের সকল সদস্য সুস্থ রয়েছে বর্তমানে। আগামীকালই রাজ্যস্বাস্থ্য দপ্তরের একটি টিম মালদায় আসছে। পরের দিন তারা সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করবেন। ছেলের বাবা সাধারণ একজন মাছ বিক্রেতা, দরিদ্র পরিবার। পয়সার অভাবের কারণে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করাতে না পেরে বাড়িতে রেখে অক্সিজেন দিয়ে কোনরকমে শিশুটিকে বাঁচিয়ে রেখেছে পরিবারের লোকজন।