জামাইষষ্ঠীর আগে নার্সিংহোম থেকে নিখোঁজ অসুস্থ শশুর! হন্যে হয়ে পরিবারের সাথে খুঁজছে জামাই, কর্তৃপক্ষের গাফিলতি তুলে স্বাস্থ্য দপ্তর এবং জেলা প্রশাসনের শরণাপন্ন।

0
31

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা :- জামাইষষ্ঠীর আগে নার্সিংহোম থেকে নিখোঁজ অসুস্থ শ্বশুর। হন্যে হয়ে পরিবারের সাথে শশুরকে খুঁজে বেড়াচ্ছে জামাই, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং জেলা পুলিশের শরণাপন্ন জামাইসহ পরিবার।
ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত। পরিবার সূত্রে জানা যায় গত ৩ তারিখে হার্নিয়ার অপারেশনের কারণে কৃষ্ণনগর পালপাড়া মোর সন্নিকটে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ৭৪ বছর বয়সী প্রশান্ত দেবনাথকে ভর্তি করা হয়। প্রথমে প্রশান্ত বাবুকে ভর্তি করা হয়, মেডিকেল ডিপার্টমেন্টে, সেখান থেকে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করে এরপর পরবর্তীতে তার অপারেশন করা হবে বলে এমনটাই চিকিৎসকেরা জানান পরিবারকে। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী বসন্ত বাবুকে ভর্তি করেন তার পরিবারের লোকেরা ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে।

এরপর হাসপাতালে দুদিন কাটানোর পরে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় আইসিউতে। এর পরেই হঠাৎই গতকাল হাসপাতাল থেকে ফোন করে প্রশান্তবাবুর পরিবারকে জানানো হয় যে তাদের রোগী হাসপাতালের আইসিইউ বেড থেকে নিখোঁজ, তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এর পরেই হন্তদন্ত হয়ে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে গিয়ে উপস্থিত হন। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ভরসা এবং দায়িত্বেই আমরা আমাদের রোগীকে সেখানে ভর্তি করাই, প্রশান্তবাবুর জামাই বলেন, হাসপাতালে দায়িত্ব আমার শ্বশুরমশাইকে খুঁজে দেওয়ার। যথার্থভাবে তারা আমাদের সহযোগিতা করতে পারেনি। তাদের দায়িত্বে যখন আমরা আমাদের রোগীকে হস্তান্তর করেছি তাদের উচিত আমাদের রোগীকে আমাদের হাতে তুলে দেওয়া। সে জায়গায় তারা আমাদের ফোন করে জানতে চাইছেন রোগী বাড়িতে গেছেন কিনা। পরিবারের দাবি একটু সরকারি হাসপাতাল নয় ঝা চকচকে প্রাইভেট নার্সিং হোম সেখানে নিরাপত্তার এই অবস্থা!

পরিবারের এই অভিযোগ, হাসপাতালে বলতে গেলে তারা বলেন পুলিশে গিয়ে ডায়েরী করে আসতে কিন্তু কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় ডায়েরি করতে গেলে পরে রোগীর পরিবারের থেকে ডাইরি নেওয়া হয়নি। পরিবার জানায় ডায়েরি করতে গেলে থানা থেকে পুলিশ আধিকারিকেরা জানান ডায়েরি করবেন রোগী যেখান থেকে হারিয়েছে সেই সংস্থা অর্থাৎ মিনার্ভা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে আমরা জানিনা আর কি হয়েছে। কোথাও যখন কোন কিছু সুরাহা মিলছে না এরপর আমি এসপি এবং সি এম ও এইচ এর কাছে একটি দরখাস্ত দিয়ে এসেছি। নগদ টাকা সেভাবে হাসপাতালে না লাগলেও স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর থেকে ৩১ হাজার ৮০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছিল হাসপাতালের তরফ থেকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের কোনরকম দায়িত্ব পালন করেনি তারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে আজকে আমাদের এভাবে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াতে হতো না। আমাদের রোগী কোথায় কি অবস্থায় রয়েছে আমরা কিছুই জানতে পারছি না এই মুহূর্তে।”

স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের সদস্য নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে পরিবারের সকল সদস্যরা। পরিবারের দাবি যেভাবে হোক তাদের পরিবারের সদস্যকে সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে যেন ফিরে পান।