নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- আজ জামাই ষষ্ঠী। জামাইদের মনোরঞ্জনের জন্য অনেক দায়িত্ব পালন করে শ্বশুরবাড়ি লোকজনেরা। দুপুরের মধ্যাহ্ন ভোজের থালিতে থাকে বিভিন্ন রকমের মিষ্টি মাছ মাংস ও অন্যান্য সুস্বাদু খাবার। তার কারণেই অন্তত ষষ্ঠীর দিন সকাল থেকেই বাড়তি দায়িত্ব মাথায় চাপে শ্বশুরদের। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাজারে গিয়ে, কেনাকাটা এই সবই নিয়েই তোরজোড় চলে। যদিও জামাইরাও তাদের স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি আসার জন্য ব্যস্ততা বেড়ে যায়, আর শ্বশুরবাড়ি উপস্থিত হতেই আরো যেন ব্যস্ততা বাড়ে। তবে এবার জামাইষষ্ঠীতে অনেকটাই অস্বস্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে তীব্র দাবদাহ। মিষ্টির দোকান গুলিতে ভিড় থাকলেও মিষ্টি থেকে দইয়ের চাহিদা অনেকটাই বেশি। আর মাছ বাজার গুলিতে সামুদ্রিক মাছের আমদানি কম থাকার কারণে ইলিশ মাছ এবার দামের ক্ষেত্রে রাজা। জামাইদের হাতের নাগালের বাইরে ইলিশ মাছ, মাঝারি এক হাজার টাকা কেজি থেকে শুরু করে আড়াই হাজার টাকা কেজি পর্যন্ত দাম রয়েছে ইলিশের। তবে চিংড়ি, কাতলা পাবদা এই ধরনের মাছ গুলির আমদানি অনেকটাই কম মাছ বাজার গুলিতে। মাছ ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, গত তিন মাস সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ থাকার কারণে এবার ষষ্ঠীতে সামুদ্রিক মাছের আমদানি কম, তবে তাপমাত্রা একটু কম থাকলে হয়তো আরো বেচাকেনা বাড়তো। অন্যদিকে অনেক মহিলায় জানাচ্ছেন, এই অসহ্য ভ্যাপসা গরম না থাকলে এবার ষষ্ঠীতে অনেকটাই আনন্দ করতে পারতেন তারা। যদিও এ বছর ষষ্ঠী একটু দেরিতে হওয়ায় আমের দাম আকাশছোঁয়া। ১০০ টাকা কেজি থেকে শুরু করে ১২০ টাকা কেজি পর্যন্ত আম, আর অন্যান্য ফলের দাম অনেকটাই বেশি, কারণ রেমাল ঝড়ের তাণ্ডবে অনেকটাই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আগেভাগেই। তবে এক প্রকার বলা যেতেই পারে, তীব্র দাবদাহ থাকার কারণে এ বছর ষষ্ঠী অন্যান্য বছরের তুলনায় একটু হলেও জমজমাট কম।