ফের বিজেপিতে ভাঙ্গন, নাটাবাড়ি ১ নং অঞ্চলের ২ পঞ্চায়েত সদস্য হিপ্পির হাত ধরে যোগ দিল তৃনমূলে।

0
56

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ ভোটের ফলাফল ঘোষণার দিনেই বেপাত্তা বিজেপি পরাজিত প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। তারপর থেকেই কোচবিহারে বিজেপিতে ভাঙ্গন অব্যাহত। আজ নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের নাটাবাড়ি-১নং অঞ্চলের দুইজন পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপি ছেড়ে যোগ দিল তৃনমূলে। এদিন তারা কোচবিহার নিউটাউন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সদর দপ্তরে এসে যোগদান করেন। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। আগামী দিনে তারা জনসাধারণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন,তারা জনগণের হয়ে কাজ করতে চান বলেই আজ তারা তৃনমূলে যোগদান।
সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল যোগদান করে নাটাবাড়ি-১নং অঞ্চলের পঞ্চায়েত সদস্য দীপক মন্ডল জানান, আমরা আজ ভারতীয় জনতা পার্টি ছেড়ে দুইজন পঞ্চায়েত সদস্য তৃনমূলে যোগদান করলাম। আমরা এত দিন এলাকার মানুষের জন্য কোন কাজ কর্ম করতে পাড়ি নি। তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যে ভাবে গ্রাম বাংলা তথা গোটা রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন করেছেন সেই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রেখে নিজের এলাকায় সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে পাড়ি। সেই কারনে আমরা বিজেপি ছেড়ে জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম। আগামী দিনে তৃনমূলের একনিষ্ঠ সৈনিক হয়ে এলাকায় কাজ কর্ম করবো সেই অঙ্গীকার করছি।
এদিন এবিষয়ে কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, নাটাবাড়ি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতে দুই পঞ্চায়েত সদস্য দীপক মণ্ডল তার সঙ্গে আরও একজন পঞ্চায়েত তারা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। তারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধোপাধ্যায়ের জনমুখী প্রকল্পে উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রার্থীরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন এবং যারা যারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করতে চাইছেন সকলকে নেওয়া হবে। দীপকের হাত ধরে আগামীতে আরও ওই অঞ্চলের পঞ্চায়েতরা আসবে। নাটাবাড়ি ১ নং অঞ্চলে ১৭ টি আসনের মধ্যে ১১টি আসন বিজেপি পায়। বাকি ৬টি আসন পায় তৃণমূল কংগ্রেস। সেই কারনে ওই অঞ্চল বিজেপির দখলে রয়েছে। যেহেতু আজ দুজন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল যোগদান করলেন। তাই তৃনমূলের ৮টি আসন হল। ওই অঞ্চল দখল করতে ৯টি আসনের প্রয়োজন। তাই আমরা এই অঞ্চল আগামী দিনে দখল নেবো। এভাবে যে আমরা আগামী ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহার জেলায় বিজেপি শূন্য করে জেলার ৯টি আসন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির হাতে তুলে দিতে পাড়ি, সেই লক্ষ্যেই আমরা এগিয়ে চলেছি বলে জানান তিনি।