ইলিশ, ভেটকি, চিংড়ি আম ও লিচু ফলের বাজার সরগরম জামাই ষষ্ঠীর বাজার উর্ধমুখী, হাতে ছ্যাঁকা শশুর শাশুড়ির।

0
19

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- মরসুমের শুরুতেই বাজার দখল করেছে আম ও লিচু। বাজারে মিলছে হিমসাগর, ল্যাংড়া, ফজলি, তোতা, বেগুনফুলি, গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বারিফল এবং কাঠিমন সহ কয়েক প্রজাতির আম। পাশাপাশি উচ্চদামে বিক্রি হচ্ছে থাইল্যান্ডের জাম্বু আম ও কয়েক প্রজাতির লিচুও। তবে দেশীয় আমের দামও কম নয়। প্রচন্ড গরমে ফলের বাজারও তুঙ্গে। ফলের বাজারে শুধুই আমের হলুদ সমুদ্র। অন্য দিকে লিচু বিক্রি হচ্ছে প্রচুর। তবে বাজারে এমন ফল কিনতে এক দিকে ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছেন। কিছু জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে সস্তায় আবার কোন জায়গায় চড়া দাম। নির্ধারিত সময়ের আগেই এসব ফল বাজারে আসায় স্বাদ নিয়েও রয়েছে অভিযোগ। অপর দিকে জামাইয়ের পাতে ইলিশ তুলে দিতে বাজারে হাজির শ্বশুর মশাইরা। কিন্তু জামাইয়ের পাত সাজানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে গিয়ে ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে শ্বশুর মশাইদের। কারণ সবজি থেকে মাছ, ফলের দাম আগুন। আর তাতেই নাভিশ্বাস উঠেছে শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের। ফলের বাজারে এখন আম লিচুর ছড়াছড়ি। জামাইয়ের খাবারের শেষ পাতে আম না দিলে খাবার যেনো অসম্পূর্ণ থাকে। জামাইয়ের পাতে বাজারের সেরা মন্ডা–মিঠাই থেকে আম–ইলিশ দেওয়ার দিন আসছে। সেখানে এক কেজির নীচে ইলিশের দাম-১০০০- ১২০০ টাকা। ১ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মিলছে ১৫০০ টাকায়। ইলিশের ওজন দেড় কেজির ওপরে হলে দাম পড়ছে ১৮০০ থেকে দু’‌হাজার টাকা। তাতেই পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে বসেছে। খাদ্য রসিক বাঙালি এখন পাড়ি জমিয়েছে ফলের বাজারে। আগামী ১৪ই থেকে ফিসিং শুরু। আর দুজন পর থেকে দিঘা সহ জেলার মৎস্য জীবীরা পাড়ি দেবে গভীর সমুদ্রে রুপোলি ফসল ইলিশ শিকারের উদ্দেশ্য। আর এবারের জামাই ষষ্ঠীর ১৪ তারিখের আগে পড়াতেই মূলত পুকুর ও ভেড়ির মিঠা মাছ, ও স্টোর নির্ভর
ইলিশ, পমপ্লেট, ভেটকি, চিংড়ি, পাবদা, সহ রুই, কাতলা সহ নানা মাছের উপর নির্ভর করতে হবে। সাথে মুরগি, খাসী মাংস তো রয়েছে। এখন হাতে ছ্যাঁকা ঠেকাতে শশুর শাশুড়িরা কোন পথ অবলম্বন করে সেটাই দেখার বিষয়!