জামাই ষষ্ঠীর পরদিনই একসঙ্গে আত্মঘাতী দম্পতি, চঞ্চল্য এলাকায়।

0
31

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  ইতিমধ্যে সারাবাংলায় জামাই ষষ্টি উপলক্ষে সাজোসাজো রব, শাশুড়ি মায়েরা তাঁদের পরম ভালোবাসার জামাইএর আতিথিয়তার ত্রুটি রাখতে চাইছেননা। তবে এই জামাই ষষ্ঠীর পরদিনই দম্পতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চঞ্চল্য। ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত বাঁগাছড়া লক্ষীনাথ পুর কলাতলা পাড়ার। এলাকাবাসী এবং পরিবার সূত্রে খবর বিগত ১বছর আগে দেখাশোনা করেই বিবাহ হয় পলাশ চৌধুরী এবং সাথী চৌধুরীর। পরবর্তীতে তে সাথীর উপর বিয়ের পর থেকেই বাপেরবাড়ি ঠেকে পন নিয়ে আসার জন্য নিয়মিত চাপ এবং অত্যাচার করতো সাথীর শশুর নাগর চৌধুরী এবং শাশুড়ি অঞ্জলি চৌধুরী। দিনের পরদিন চলছিল এই অত্যাচার এমনটাই দাবি প্রতিবেশীদের। তবে এলাকাবাসীরা জানান ছেলের বিয়ে হচ্ছিলো না। তারপর বহু কষ্টে বর্ধমান নিবাসী সাথীর সঙ্গে বিয়ে হয় পলাশের। তবে শাশুড়ি শশুর কোনদিনই বৌমাকে মেনে নেননি। চলতো পনের জন্য চাপ মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার। তবে গতকাল ছিল জামাই ষষ্টি স্বভাবত আর ৫জনের মতো জামাইষষ্ঠী করতে যাওয়া হয়নি তাঁদের। তবে গতকাল সারাদিন হয়েছে অশান্তি পরবর্তীতে গতকাল বিকেলে সেই অশান্তি চরমে পৌছায়।আজ সকালে একই ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় দম্পতির ঝুলন্ত দেহ। যদিও ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকাবাসী উপস্থিত হয় বাড়িতে, মেয়ের মাসিও আসেন ছুটে। তিনি দাবি করেন শশুর শাশুড়ির অত্যাচারেই এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও এই বিষয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন বলেও জানান মেয়ের মাসি। তবে মৃত যুবকের মা অঞ্জলি চৌধুরী জানান, বৌ কোনো কাজ জানতো না তাই তার উপর আমি একটু চাঁচামেচি করতাম। কাল বিকেলে একটু কোথা কাটাকাটি হয়। পরে ছেলে বৌমা ঘরেই ছিল। কখন এই ঘটনা ঘটল টা তার জানা নেই। তবে বৌমার নাম জিগ্যেস করা হলে তিনি জানান তার বৌমার নাম তিনি জানেন না। ওপর দিকে এই ঘটনায় ব্যাপক চঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।এলাকাবাশী খবর দেয় শান্তিপুর থানায়। পরবর্তীতে শান্তিপুর থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রা ওই দম্পতির মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে মৃতদেহ দুটি ময়না তদন্তের জন্য রানাঘাট পুলিশ মর্গে পাঠায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। তবে কি ভাবে এই ঘটনা ঘটল তার তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ।