মনিরুল হক, কোচবিহারঃ নব নির্বাচিত সাংসদকে নিয়ে বিজয় সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হলো মাথাভাঙ্গায়। এদিন মাথাভাঙ্গা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ওই বিজয় সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হয় মাথাভাঙ্গা শহরের নজরুল সদনের। এদিন প্রদীপ প্রজ্জলন করে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়। এদিন কোচবিহারের নবনির্বাচিত সাংসদ জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়াকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এই সংবর্ধনা সভায় নব নির্বাচিত সাংসদ জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, দলের চেয়ারম্যান গিরিন্দ্রনাথ বর্মন, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ, বিনয়কৃষ্ণ বর্মন, হিতেন বর্মন, কমলেশ অধিকারী, শাবলু বর্মন, বিশ্বজিৎ রায়,নয়নজ্যোতি সাহা, লক্ষপতি প্রামানিক, বিশ্বজিৎ সাহা সহ অন্যান্যরা।
এদিন সংবর্ধনা মঞ্চেই জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, সম্বর্ধনা পেয়েও তিনি খুশি নন। কারন তৃণমূল এবারে মাথাভাঙ্গা শহরে পরাজিত হয়েছে। তাই আগামী বিধানসভার লক্ষ্যে তৃণমূল কর্মীদের এগিয়ে যেতে হবে। জেলায় ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৯টিতেই জয়ী হতে হবে। তিনি আরও বলেন, যেহেতু তৃণমূল এবার লোকসভা কোচবিহার আসনে জয়ী হয়েছে, তাই বিজেপির পঞ্চায়েতরা তৃণমূলে যোগদান করছেন। এটা স্বাভাবিক আবার বিজেপি যদি এই আসনে জয়ী হতো তাহলে তৃনমূল পঞ্চায়েত প্রধানরাও বিজেপিতে যোগদান করতো। তাই যোগদান করানোর আগে দেখে নিতে হবে। কোন তোলাবাজদের যোগদান করানো যাবে না বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, গতকাল কলকাতা থেকে ফেরার সময় শিলিগুড়িতে নিজের দপ্তরে ঢুকেছিলাম। মাথাভাঙ্গা ১ ব্লকের জন্য ৪ কোটি টাকা এবং ২ ব্লকের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দের ব্যবস্থা করে এসেছেন। কিন্তু মাথাভাঙ্গা, কোচবিহার এবং দিনহাটা শহরের জন্য ১ টাকাও বরাদ্দ করা হয়নি। যেহেতু এই সব শহরাঞ্চল তৃণমূল হেরেছে, তাই গ্রামের মানুষদের দেখে শিখুক শহরের মানুষরা এমনটাই বলে জানান তিনি।