আবারও প্রতারণার শিকার এক প্রবীণ ব্যক্তি, প্রশাসনের দ্বারস্থ ব্যক্তি।

0
36

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  আবারও নদীয়ার শান্তিপুরে ব্যাংক প্রতারণার শিকার ৬৫ বছরের এক প্রবীণ ব্যাক্তি। শান্তিপুর থানার অন্তর্গত শান্তিপুর পৌরসভার কে সি দাস রোডের গোভাগার এলাকার বাসিন্দা ৬৫ বছরের জীবন কুমার মজুমদারের অভিযোগশান্তিপুর নতুনহাট এলাকার বাসিন্দা সেলিম মালিতা নামে এক যুবক গোপাল বাবুর বাড়ি কেনার জন্য বেশ কিছুদিন তার বাড়িতে আসেন এবং তার বাড়ির দাম বাবদ ৪৭ লক্ষ টাকা দেবেন বলে আশ্বাস দেন।পরবর্তীতে জীবন বাবু রাজি হলে তার টাকা জীবনবাবুর ব্যাংক একাউন্টে দেওয়ার নাম করে শান্তিপুর পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে নিয়ে জান যেখানে জীবন বাবুর ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে।যেহুতু জীবন বাবুর ব্যাংকে একাউন্টে চেক ফেসিলিতির ব্যবস্থা ছিল না তাই গত ১০ মে জীবনবাবুকে সেলিম মালিতা নামে ওই যুবক তার মোটরসাইকেল এ বসিয়ে ব্যাংকে নিয়ে জান।পরবর্তীতে জীবন বাবুর সমস্ত ডকুমেন্ট ব্যাংকের এক কর্মচারী যার নাম সমীর দাস তার কাছে সেলিম সমস্ত কিছু তুলে দেয় এবং ওই ব্যক্তি সেলিমকে একটি চিরকুট দেয় পরে জীবন বাবু এবং সেলিম মালিতা জীবনবাবুর বাড়িতে চলে আসন। এরপর জীবনবাবুর মোবাইল নিয়ে সেলিম মালিতা ঘাঁটাঘাঁটি করেন পরে চলে জান। পরবর্তীতে জীবন বাবু ১৫ মে ব্যাংকে টাকা তুলতে গেলে দেখেন তার একাউন্টে ১২২টাকা ৮২ পয়সা পরে রয়েছে। এরপর ব্যাংকে জানালে তাকে কোনোরকম সাহায্য করা হয়না। তবে জীবন বাবু জানান তার ব্যাংক একাউন্টে ২ লক্ষ্য ২৬ হাজার ১২২ টাকা ছিল।এরপর তিনি স্টেটমেন্ট তুলে জানতে পারেন ওই সেলিম মালিতা তার একাউন্ট থেকে দফায় দফায় টাকা তুলে নিজের একাউন্টে নিয়ে নিয়েছে। যদুও জীবন বাবুর অভিযোগ শুধু সেলিম মালিটাই নয় ব্যাংকের ওই কর্মচারী সমীর দাস ও এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত। যদিও পরবর্তীতে ব্যাংকের ম্যানেজারের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করতে গেলে ব্যাংকের ম্যানেজার তার সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন এবং তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ভয় দেখান। পরবর্তীতে জীবন বাবু অসহায় হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন এবং অভিযুক্ত সেলিম মালিতা এবং ব্যাংকের কর্মচারী সমীর দাসের বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানা এবং সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। জীবন বাবুর দাবি ওই দুই অভিযুক্ত তাকে ঠকিয়ে তার বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে তাকে সর্বশান্ত করেছে। তাই ওই দুই ব্যক্তির দৃষ্টান্ত মূলক স্বাস্তি হোক বলে তিনি প্রশাসনের কাছে মিনতি করেছেন। যদিও ঘটনার পর অভিযুক্ত রা পলাতক। তবে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ এবং অভিযুক্ত দের খোঁজে তল্লাশিও শুরু করেছে পুলিশ।