দিনহাটার গোসানিমারিতে বিজেপি ছেড়ে ১৫০ কর্মী সমর্থক যোগ দিল তৃনমূলে।

0
35

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ- লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্ত্রামানিকের পরাজয়ের পর কোচবিহার জেলা জুড়ে বিজেপিতে মোহভঙ্গ দলীয় প্রধান,পঞ্চায়েত সদস্য থেকে শুরু করে কর্মী সমর্থকরা। কোনভাবে দলের ভাঙ্গন ঠেকাতে পারছে না বিজেপির জেলা নেতৃত্বরা। তাবড় তাবড় নেতাদের আশ্বাসেও ভরসা পাচ্ছে না বিজেপিতে। তাই একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপ প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য এমনকি সাধারণ কর্মী সমর্থকরা যোগ দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসে।
এদিন কোচবিহার জেলার দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের গোসানিমারি এলাকার ৯১টি পরিবার প্রায় ১৫০ জন কর্মী সমর্থক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিল। এদিন গোসানিমারিতে এক সভায় তাদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন নবনির্বাচিত তৃণমূল সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। এদিন সেখানে তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিতাই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঙ্গীতা রায় বসুনিয়া দিনহাটা ১ নম্বর ব্লক(এ)তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুধাংশু রায়, তৃণমূল নেতা ভবেন বর্মন আরও অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্বরা।
সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদানকারী এক কর্মী জানান,আমরা গোসানিমারি ১নং অঞ্চলের টাকিমারি গ্ৰামে দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি করি। কিন্তু এতদিন হল বিজেপিতে সম্মান পাইনি। ভোট দিলেও তারা সন্দেহ করে। তাছাড়া বিজেপি একটি সাম্প্রদায়িক দল। সেই কারনে আর তাদের ভালো লাগে না। তাই আজ গ্রামের প্রায় ৯১টি পরিবারের ১৫০-১৬০ জন বিজেপি কর্মী তৃনমূলে যোগদান করলাম।
এদিন এবিষয়ে নব নির্বাচিত তৃণমূল সাংসদ জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন,গ্রামের সাধারণ মানুষ তাদের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বুঝতে পারছেন এরাজ্যে যে একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারাই উন্নয়ন সম্ভব। তাইতো লোকসভা ভোটের পর দিনহাটা তথা কোচবিহার জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে সাধারণ মানুষ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন। কারণ তারা জানেন এরাজের শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট নির্মাণ, পানীয় জলের বন্দোবস্ত সব সমস্ত দিক থেকেই এগিয়ে চলেছে। এই উন্নয়নের গতিধারাকে আরো ত্বরান্বিত করতে হবে এটা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছেন। তাইতো দলে দলে মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিচ্ছেন। এদিনের এই সভায় লোকসভা ভোটে তাকে জয়ী করার জন্য জগদীশবাবু উপস্থিত সকল মানুষকে অভিনন্দন জানান।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর দিনহাটা তথা সমগ্র জেলা জুড়েই গেরুয়া শিবিরের ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বিজেপি পরিচালিত দিনহাটার ভেটাগুড়ি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত, ভেটাগুড়ি দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এবং মাতালহাট গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির হাতছাড়া হয়েছে। এছাড়াও দিন দুই আগে দিনহাটা দুই নম্বর ব্লকের শালমারা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি দলের পাঁচ জন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিয়েছেন।