নব নির্বাচিত তৃণমূল সাংসদের সংবর্ধনা ও নবম বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠিত হল কোচবিহার রবীন্দ্র ভবনে।

0
28

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ- লোকসভা ভোটে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে ৩৯ হাজার ২৫০ ভোটে জয় লাভ করে তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। তারপর থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে তৃনমূলের জয়ী সাংসদ জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়াকে সংবর্ধনা প্রদান শুরু হয়েছে। সেই অনুযায়ী কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে নব নির্বাচিত সাংসদের সংবর্ধনা ও নবম বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে কোচবিহার রবীন্দ্র ভবনে। এদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক,উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ, নব নির্বাচিত সাংসদ জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, দলের চেয়ারম্যান গিরিন্দ্র নাথ বর্মণ, উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়, প্রাক্তন বিধায়ক বিনয় কৃষ্ণ বর্মণ, কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাপতি সুমিতা বর্মণ, জেলা পরিষদের সহ সভাপতি জলিল আহমেদ, খোকন মিয়া সহ আরও অনেকে।
জানা গেছে, দলীয় সাংসদ জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়াকে সংবর্ধনা দেওয়ার পাশাপাশি কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নবম বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দলের বিভিন্ন জায়গার তৃণমূল কংগ্রেস ভোট কম পেয়েছে। সেই জায়গা কেন ভোট কম পেয়েছে তা নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। এবং কিছু নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এসেছে সেগুলো নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে ওই সভায়। পাশাপাশি অঞ্চল, ব্লক ও জেলা নেতাদের কাছেও রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।
কোচবিহার রবীন্দ্রভবনে অনুষ্ঠিত এই সভা মঞ্চ থেকে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের খারাপ ফলের জন্য তৃণমূলকেই দায়ী করেন উদয়ন গুহ। তিনি বলেন,‘কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে যেখানে তৃণমূলের ফল খারাপ হয়েছে সেখানে বিভীষণদের চিহ্নিত করতে হবে। বিভীষণ না থাকলে রাবন পরাজিত হত না।’
এদিন উদয়ন গুহ আরও বলেন, ‘কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত শহরগুলোতে খারাপ ফলাফলের কারণে চেয়ারম্যানরা দায় এড়াতে পারে না।’
এদিন ওই সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে নব নির্বাচিত সাংসদ জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, ‘লোকসভা ভোটের জয়ের পর ২৬-এর যাত্রা আমাদের শুরু হবে। সেই অশ্বমেদের ঘোড়া ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ৯টি আসন মধ্যে ৯টি আসন জয়লাভ করে আমরা অশ্বমেদ যজ্ঞের সমাপ্তি হবে। আমাদের প্রত্যেকটি বুথ সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি, ব্লক সভাপতি ও জন প্রতিনিধিদের কাছে অনুরোধ ২০১৯ সালের পরাজয়ের পর দলের যে অবস্থা ছিল তা ২০২৪ সালে দলের যে দুরাবস্থা থেকে ফিরে নিয়ে এসে আমাকে জয়ী করিয়েছেন তার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। আগামী দিনে দিল্লিতে আমার শপথ রয়েছে। সেই শপথ নেওয়ার পর সাংসদে কোচবিহারের মানুষ তথা উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য কাজ করবো এবং কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই করবো।’