উত্তরবঙ্গে রেল দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় বাড়ি ফিরে এসে বয়ান দিতে গিয়ে আতঙ্কে কেঁপে উঠছিলেন দাঁতনের বৈঁচা গ্রামের বছর ২৭ এর যুবক।

0
101

পঃ মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- “টিভিতে এর আগে রেল দুর্ঘটনা দেখেছি। কিন্তু মৃত্যুকে এত কাছ থেকে দেখব ভাবতে পারিনি। যেন পুনর্জন্ম হল আমার।” উত্তরবঙ্গে রেল দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় বাড়ি ফিরে এসে বয়ান দিতে গিয়ে আতঙ্কে বারবার কেঁপে উঠছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতনের বৈঁচা গ্রামের বছর ২৭ এর যুবক অভিমন্যু দে। গত ৬ জুন আগরতলাতে কাজে যোগ দিয়েছিলেন অভিমুন্য। হঠাৎ করে বাড়িতে একটি কাজ পড়ে যাওয়ায় আগরতলা স্টেশনে রবিবার সকালে ট্রেনে চাপে। ট্রেনের পিছন দিক বরাবর একটি সংরক্ষিত কামরায় সাইড বার্থে সীট ছিল। পরদিন সকালে হঠাৎ করে রাঙাপানি স্টেশনের কাছে ঘটে যায় দুর্ঘটনা। অভিমুন্য বলেন সকালে ঘুম থেকে উঠে বাথরুম যাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম হঠাৎ করে ট্রেনটি ভূমিকম্পের মতো তুলে উঠল। গায়ের উপরে সকলে এসে পড়তে লাগলো পায়ে খুব জোর চোট লেগেছিল। কোনক্রমে বাইরে বেরিয়ে দেখি আমাদের কামরাটি লাইনচ্যুত হয়েছে। কয়েকটি কামরা পরে শেষের দিকের কামরাগুলি দুমড়ে মুচড়ে গেছে। এরপর অভিমুন্য কোনরকমে বাইরে বেরিয়ে নিজের পায়ের ব্যথার তোয়াক্কা না করে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। বেশ কয়েকটি বাচ্চা সহ কয়েকজনকে টেনে বার করেন। এভাবেই কেটে যায় কয়েক ঘন্টা। এরপর পায়ের যন্ত্রণা তীব্র হলে আর কোথাও যেতে পারেনি। উদ্ধারকারী দল এসে ওই ট্রেনেই শিয়ালদার উদ্দেশ্যে রওনা করে দেয়। মঙ্গলবার ভোররাতে শিয়ালদায় নেমে সেখান থেকে ট্যাক্সিতে করে হাওড়া পৌঁছায়। এরপর ট্রেনে খড়গপুর। এখান থেকে গাড়িতে করে বাড়ি। বাড়িতে বাবা মা বৌদি ও ছোট্ট ভাইজি। দাদা সেনাবাহিনীতে কর্মরত বাড়িতে থাকে না। অভিমন্যুর বাবা ধনঞ্জয় দে বলেন ভগবান আমার ছেলেকে পুনর্জন্ম দিয়ে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। ভগবানের কাছে কৃতজ্ঞ। তবে আর ছেলেকে বাইরে পাঠাবো না। অভিমুন্য জানায় গত কয়েক বছর ধরে করমন্ডল এক্সপ্রেসে চেপে চেন্নাইত