ডিসটংশান পাওয়ার থেকে শিক্ষার সাথে পথচলা অনেক বেশি আকর্ষনীয় ।

0
30

নদীয়া-কল্যাণী, নিজস্ব সংবাদদাতা :- IISER K-এর দ্রুত অগ্রগতিতে তার গভীর সন্তুষ্টি প্রকাশ করে, পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত অধ্যাপক রোহিনী এম. গডবোলে নতুন স্নাতক ডিগ্রিধারীদের লক্ষ্য করে বলেন, ” ডিসটিংশান পাওয়ার থেকেও শিক্ষার সাথে পথচলা অনেক বেশি আকর্ষণীয়।” তিনি বৃহস্পতিবার নদিয়ার হরিণঘাটায় IISER কলকাতার ক্যাম্পাসে 11 তম সমাবর্তনে তার দীক্ষান্ত ভাষণ দিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, দেশে সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করার দরকার যে প্রতিষ্ঠানগুলি বিজ্ঞান- শিক্ষা ও গবেষণাকে একীভূত করবে এই আশায় যে, কেউ মৌলিক বিজ্ঞানকে আরো ভালো ফোকাসে আনতে পারে ।

এদিন প্রায় 280 জন শিক্ষার্থী তাদের স্নাতক ডিগ্রি পেয়েছে যার মধ্যে 187 BS – MS, 6 IP, 17 IPh.D রয়েছে এবং 73 জন পি এইচ. ডি.,বৃহস্পতিবার এ‌ কথা জানান আই আই এস ই আর কলকাতার ডিরেক্টর সুনীল কে. খারে। অন্যান্য দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অফ গভর্নরস এর চেয়ারপারসন অরবিন্দ এ. নাটু এবং আরও অনেক বিজ্ঞানী ।

গডবোলে তার বক্তৃতার সময়, বৈচিত্র্যের উপর জোর দিয়েছিলেন। এরপর তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন (যারা বৃহস্পতিবার ডিগ্রী পেয়েছে) যে কোন সৃজনশীল কার্যকলাপ অনেক স্তরে উপকারী। পাশাপাশি আরও বৈচিত্র্যময় গোষ্ঠী তৈরি করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “নির্দিষ্ট বিষয় বস্তুর বাইরে চিন্তা করাই বিকাশের সর্বোত্তম উপায়।” এক কথায়, তিনি সমন্বিত উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সামাজিক গোষ্ঠীর অংশগ্রহণের ওপর জোর দেন। পুরোপুরি নকল না করে পুরানো জ্ঞান পদ্ধতির সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

ভারতীয় বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষা সংক্রান্ত সমস্যাটির কথা উত্থাপন করেন। অবশেষে তিনি নতুন স্নাতকদের বলেন, ভারতকে একটি সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক সমাজ রূপান্তরের কাজে এগিয়ে আসতে।

IISER K কর্তৃপক্ষ তার দ্বারা চন্দন গাছের চারা রোপণের ব্যবস্থা করেছিল। সেগুলিকে IISER কে ক্যাম্পাসে বসানো হবে।