নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা :- এ রাজ্যে করোনা সূচনার সময় এই ছবিটি ভাইরাল হয়েছিল। সকলেই জানেন সে সময় নদীয়ার কৃষ্ণনগরের এক ডাক্তারবাবুর স্ত্রী নবান্নে কাজ অরুনিমা দে ঘোষ তার করোনা আক্রান্ত ছেলেকে নিয়ে বিদেশ থেকে আসার সময় কলকাতা বিমানবন্দরে কৃষ্ণনগরে এসে ধরা পরার পরেও কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে না থেকে সোজা কৃষ্ণনগরে এসে পৌঁছেছিলো এবং তার ফল এই হুড়মুড়িয়ে রাজ্যতো বটেই এ জেলাতেও সংক্রমণ ঘটেছিলো অতি মারি । তবে সে ক্ষেত্রেও চরম ও সচেতনতার উল্লেখ করে ডাক্তার পরিবারের নবান্নের প্রভাব খাটিয়েছিলেন বলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত হয়েছিলো।
এবার সেই নবান্নে চাকরি করার প্রভাব খাটিয়ে তারই বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তিকে ঘরছাড়া করার, শুধু তাই নয় পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে তার বাড়িতে কাজ করা নির্মাণ কর্মীদের পর্যন্ত মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলেই অভিযোগ করেন ওই জমি বাড়ির মালিক বাপ্পা শেখ। তিনি বলেন বিগত প্রায় এক বছর আগে কৃষ্ণনগর এমএন ঘোষ স্ট্রীটের উপর একটি জমি বাড়ি কেনেন যার উপযুক্ত সমস্ত কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও অরুনিমা ঘোষ দে নামে এক মহিলা তার শাশুড়ির বাড়ি বলে দাবি করতে থাকে এবং তাদের বাড়ি ছেড়ে দিতে বলে। এ বিষয়ে স্থানীয় কোতোয়ালি থানার পুলিশ প্রশাসনকে তার চাকরির প্রভাব খাটিয়ে বাধ্য করে নানান রকম পুলিশি হয়রানি করার। এমনকি তিনি নাকি অভিযোগ করতে যেতে পারছেন না তাকে এরেস্ট করা হবে এ খবর পেয়ে।
যদিও এ বিষয়ে অভিযুক্ত অরুনিমা দে ঘোষের যোগাযোগ নাম্বারে তাকে পাওয়া যায়নি আমাদের প্রতিরোধীরা ডাক্তার বাবুর সাথে দেখা করলে তিনি এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি।
তবে উড়ছে প্রশ্ন, প্রশাসনিক উচ্চ মহলে কাজ করলেই তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করা যাবে না, অভিযোগকারী বাপ্পা শেখ জানাচ্ছেন এ বিষয়ে জেলা স্তরের সমস্ত ধরনের প্রশাসনিক এবং পুলিশের সর্বময় কর্মকর্তাদের সাথে কথা হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না আর তার ফলেই এক শিশু সন্তান এবং এক বৃদ্ধা মাকে নিয়ে নিজের বাড়ি ছেড়ে থাকতে হচ্ছে অন্যত্র।
তবে ঘটনা তীব্র নিন্দা করে পাশে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির কৃষ্ণনগর উত্তর জেলার মিডিয়া কনভেনার। তিনি বলেন কাগজপত্র শেষ কথা বলবে কিন্তু তার আগেই একজন সাধারণ মানুষ প্রশাসনের আতঙ্কে থাকবে আর তার মাথার উপর শাসকদলের এক কর্মচারী ছড়ি ঘোরাবে, এ হতে পারে না। অবিলম্বে জেলা প্রশাসনিক এবং পুলিশ মহল সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখে তবেই দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দেওয়া হোক দোষীকে কিন্তু তার আগে এভাবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নয় ।