মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেনকিন্স স্কুল পরিদর্শন করতে গেলেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার।

0
17

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ- বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবন, প্রশাসনিক ভবন সহ অন্যান্য বিল্ডিংয়ের অবস্থা খুব শোচনীয়। ক্লাসে জল জমে থাকছে। ছেলেরা ক্লাসরুমে বসতে পারে না। বৃষ্টিতে প্রতিটি ঘরের দেওয়াল ভিজে রয়েছে। কোথাও রড বেরিয়ে গিয়েছে। কোথাও চাঙর ভেঙে পড়ছে। স্টাফ রুমেও জল জমে থাকছে। বিল্ডিং সংস্কারের দাবি সহ বিদ্যালয়ের নানা সমস্যার কথা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানানো হয়। সেই স্কুলের ছাত্র ও শিক্ষকের অভিযোগ পাওয়া মাত্র জেলা শাসককে ডেকে খুব দ্রুত সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধোপাধ্যায়। ওই নির্দেশ পাওয়ার কয়েক ঘন্টা কাটতে না কাটতে আজ তড়িঘড়ি কোচবিহার জেলার জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা, জেলার পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য সহ জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা আসেন জেনকিন্স স্কুলে। এদিন স্কুলের বিভিন্ন ক্লাসরুম গুলো পরিদর্শন করে স্কুলের ছাত্রদের সাথেও কথা বলেন তারা।
এদিন জেনকিন্স স্কুল পরিদর্শন শেষে কোচবিহারের জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা জানান, গত ১৭ তারিখ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধোপাধ্যায় মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় স্কুলের সামনে কনভয় দাড় করিয়ে স্কুলের নানা সমস্যার কথা জানান। তারপর মুখ্যমন্ত্রী আমাকে ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন। তারপর আজ আমি ও পুলিশ সুপার সহ পিডাবলুডি-র আধিকারিকদের সাথে নিয়ে স্কুল পরিদর্শন করতে আসি। আজ বিদ্যালয়ে এসে ক্লাসরুম গুলো দেখলাম যে উপর থেকে রুমে জল পড়ছে। পরে স্কুলের ছাত্রদের সাথে কথা বললাম। আমরা স্কুলের আডিকশন দপ্তরকে বিষয়টা জানাবো যাতে তারা খুব দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করা হয়।
এদিন এবিষয়ে স্কুলের এক শিক্ষক জানান, ‘সামগ্রিক ভাবে বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবন, প্রশাসনিক ভবন সহ অন্যান্য বিল্ডিংয়ের অবস্থা খুব শোচনীয়। ক্লাসে জল জমে থাকছে। ছেলেরা ক্লাসরুমে বসতে পারে না। স্টাফ রুমেও জল জমে থাকছে। জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা এসে পরিদর্শন করে গেলেন। তারপর হয়তো নির্দেশ আসবে। আমরা বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি,তারাও হয়তো ভিজিট করতে আসবে। আজকে ডিএমের ভিজিটা আমাদের কাছে অনেকটা শিক্ষণীয় হল। আমাদের অনেকটা দায়িত্বশীল হতে হবে বিশেষ করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিক দিয়ে। কারন ডিএম স্যার আবার ১৫ দিন পরে আমাদের স্কুলে ভিজিট করতে আসবেন।