স্কুলে চতুর্থ শ্রেনির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক শিক্ষককে আটক পুলিশ।

0
40

কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা ২১ জুনঃ স্কুলে চতুর্থ শ্রেনির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করলো পুলিশ। ওই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে মেখলিগঞ্জ ব্লকের উছলপুকুরির একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
অভিযোগ,মেখলিগঞ্জ ব্লকের উছলপুকুরির একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা শেষে চতুর্থ শ্রেনির এক ছাত্রীর সাথে অভব্য আচরন করে স্কুলেরই এক সহকারি শিক্ষক। যদিও ওই অভিযোগ নিয়ে ধোঁয়াসাও রয়েছে বলে জানা যায়। ঘটনার জেরে এদিন স্কুলে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। অন্যদিকে ওই শিক্ষককেও শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ কতটা সত্যি তা তদন্তের বিষয়। যদিও ওই শিক্ষকের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করে জানানো হয়েছে,তাকে মিথ্যে বদনামে ফাঁসানো হচ্ছে। পরে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
ওই ছাত্রীর পরিবারের এক সদস্য বলেন,আমাদের ওই শিশুটি চতুর্থ শ্রেনিতে পড়ে। আজ তার পরীক্ষা ছিল। কিন্তু পরীক্ষা শেষে ওই ছাত্রীর গায়ে ও বুকে হাত দেয়। পরে সে স্কুল শিক্ষকের যা যা করেছে বাড়িতে ফিরে এসে সবটা খুলে বলেন। পড়ে পরিবারের লোকজন গিয়ে ওই শিক্ষককে আটক করে উত্তম মাধ্যম দেয়। পরে পুলিশ এসে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তাদের দাবি, অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি চায়।
ঘটনা প্রসঙ্গে মেখলিগঞ্জ থানার ওসি জানান,অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আজ তাকে মেখলিগঞ্জ আদালতে তোলা হবে।
উল্লেখ্য,এর আগেও উচলপুকুরিতে এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছিল এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। কিন্তু দীর্ঘ সাত বছর পর আদালতে নির্দোষ প্রমানিত হয়েছিল ওই শিক্ষক। একটা মিথ্যে অভিযোগ ওই শিক্ষকের জীবনে প্রভূত ক্ষতি ঘটায়। ফের একই অভিযোগ আর এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। যদি ঘটনা সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে তা অবশ্যই নিন্দনীয়। কিন্তু ঘটনার পর তা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করতে কেন আপত্তি জানালেন ছাত্রীর পরিবার, সেটা নিয়েও কিন্তু উঠছে প্রশ্ন।