টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রির অভিযোগ স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ।

0
33

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রির অভিযোগ স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে । সারা পশ্চিমবঙ্গে যখন চাকরির দাবিতে হাজার হাজার ছেলে মেয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছে, সেখানে এক ব্যাতিক্রমী চিত্র ধরা পরল নদীয়ার ভীমপুরে। শুধুমাত্র নাম ঠিকানা দিলেই উঠে যাচ্ছে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের তালিকার ওয়েবসাইটে নাম। এমনি গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ।ভীমপুর পঞ্চায়েতের সরবেড়িয়া পাড়ার বাসিন্দা পরিরমল কুন্ডু, পেশাই প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। এছাড়াও তার আরেকটি পরিচয় টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করেন নাকি এই শিক্ষক। অভিযোগকারীদের দাবি কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন তিনি মালদায় ছিলেন । কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত ঐক্য শ্রী প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে তিনি ভীমপুর চলে আসেন। মালদায় থাকাকালীন ওখানে প্রচুর ছেলেমেয়েকে অর্থের বিনিময়ে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন এমনকি চাকরি করতে অনিচ্ছুক হলেও তার নাম সরকারি ওয়েবসাইটে তুলে দিয়ে দাবী করেছেন লক্ষ্যাধিক টাকার। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে প্রাণ-নাশের হুমকিও দেন। এ বিষয়টা নিয়ে মালদার ওই স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। এই অভিযোগ সামনে আসতেই গত সপ্তাহ থেকে ঘর ছাড়া পরিমল কুন্ডু তার বাড়িতে গেলে জানা যায় সন্ধ্যার পরেই তার বাড়িতে প্রচুর লোকের আনাগোনা লেগে থাকত। লেনদেন হতো লক্ষ, লক্ষ টাকার। অসাদু উপায়ে অর্জন করে টাকায় নেশায় তিনি ডুবে থাকতেন , পেশায় শিক্ষক পরিমল কুন্ডু । প্রতিবেশীদের অভিযোগ এই নেশার জেরে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে বছর খানেক আগে চলে যান বাবার বাড়িতে। একা ঘরেই তার এই অসৎ উপায়ের স্বর্গরাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পরিমল কুন্ডু। পঞ্চায়েত প্রধান এবং স্থানীয় বাসিন্দারা এটা শুনে অবাক হচ্ছেন যেখানে মানুষ দিনের পর দিন পরিশ্রম করে চাকরি পাচ্ছে না সেখানে একটি ফোনেই আর কিছু টাকার বিনিময়ে কিভাবে মিলছে সরকারি চাকরি এলাকাবাসি সহ বুদ্ধিজীবী মহল চিন্তিত । শিক্ষকের এহেনো কাণ্ডে গোটা পশ্চিমবঙ্গ এখন এই বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন। এখন দেখার বিষয় প্রশাসন এই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয় ।