বিজেপি ছেড়ে ২ পঞ্চায়েত ও জেলার মাইনরিটির মোর্চার সাধারণ সম্পাদক সহ বেশ কিছু কর্মী সমর্থক যোগ দিল তৃনমূলে।

0
69

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ- ফের বিজেপিতে বড়সড় ভাঙ্গন কোচবিহারে। মেখলিগঞ্জ ব্লকের বাগডোগরা-ফুলকাডাবড়ি গ্রাম-পঞ্চায়েতের বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য রঞ্জন রায়, কুচলিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য রাজেশ রায় ও কোচবিহার জেলা বিজেপির মাইনরিটির মোর্চার সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক সহ বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থক এবং হানুফা খাতুন নামে এক কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্যা যোগ দিলেন তৃনমূল কংগ্রেসে। এদিন কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নিউটাউন কার্যালয়ে তাদের দলীয় পতাকা তুলে দেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। ওই যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ, মেখলিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক পরেশ চন্দ্র অধিকারী, তৃনমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা কোচবিহার জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি আব্দুল জলিল আহমেদ সহ অন্যান্যরা।
সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃনমূলে যোগদানকারী তিন পঞ্চায়েত সদস্য রঞ্জন রায়, রাজেশ রায় বলেন, নিচু স্তরের কর্মীদের বিজেপির উচু স্তরের নেতারা কোন মর্যাদা দেয় না। এলাকায় কোন কাজ কর্ম হলে পঞ্চায়েত হিসেবে তাদের কোন মতামত নিত না। এছাড়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধোপাধ্যায়ের জনমুখী প্রকল্পের উন্নয়নে উৎজীবিত হয়ে আজ আমরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম। কারন যারা আমাদের ক্ষমতায় নিয়ে এসেছে তাদের জন্য এলাকায় আমাদের উন্নয়ন করতে হবে। বিজেপিতে থেকে তা সম্ভব নয় বলেই আজ আমরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম জেলা সভাপতির হাত ধরে। দল আগামীতে যা যা নির্দেশ দেবে সেই নির্দেশ মেনে তৃনমূলের একজন একনিষ্ঠ সৈনিক হয়ে কাজ করবো বলে অঙ্গীকার করলাম।
এদিন এবিষয়ে কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, আজ দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত আমাদের দখলে এলো। আজ মেখলিগঞ্জ ব্লকের বাগডোগরা-ফুলকাডাবড়ি গ্রাম-পঞ্চায়েতের বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য রঞ্জন রায় ও কুচলিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য রাজেশ রায়, কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য হানুফা খাতুন যোগদান করলেন তৃণমূলে। এরা যোগদান করায় আজ ওই দুই অঞ্চল তৃনমূলের দখলে এলো। এর পাশাপাশি কোচবিহার জেলা বিজেপির মাইনরিটির মোর্চার সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক সহ বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থক যোগ দিলেন তৃনমূলে। কারন এলাকায় যারা জন প্রতিনিধি হয়েছে তারা বিজেপিতে থেকে এলাকায় ঠিকমত উন্নয়ন করতে পারছে না। তাই তারা এলাকার ও সাধারণ মানুষের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল যোগদান করেন। তাদের যে চিন্তাভাবনা সে চিন্তাভাবনাকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা আগামীতে ওই অঞ্চলের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে সেখানে আমাদের বোর্ড গঠন করবো বলে জানান।