অর্থাভাবে বন্ধ হওয়ার মুখে বালুরঘাটের বিশেষ স্কুলের।

0
38

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- বহু বছর আগেই বন্ধ হয়েছে সরকারি সহায়তা। অর্থাভাবে বন্ধ হওয়ার মুখে বালুরঘাটের বিশেষ স্কুলের। সরকারি সহায়তা ও পরিকল্পনার মাধ্যমে দিব্যাঙ্গ বিশেষ স্কুলটিকে বাঁচিয়ে রাখার আবেদন কর্তৃপক্ষর।

বালুরঘাটেত ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের খানপুরে রয়েছে এই বিশেষ স্কুল। যেখানে মূক, বধির, দৃষ্টিহীন ও মানসিক দুর্বল পড়ুয়াদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এমনকি রয়েছে নিজস্ব হোস্টেল। এই স্কুলে ১০০ জন পড়ুয়ার পরিকাঠামো থাকলেও বর্তমানে মাত্র ২৬ জন এখানে পড়াশোনা করছে। হোস্টেলে ২৫ জন খাওয়ার ও থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু সেখানে থাকছে মাত্র পাঁচ জন। ১৯৯৭ সালে সরকারি জায়গায় প্রায় ১ একর জায়গার ওপরে স্কুলটি নির্মিত হয়। কিন্তু ২০০২ সালের পরে কোনও সরকারি অর্থ সাহায্য পায় না এই স্কুল। শুধু কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী দাতাদের অর্থদানের মাধ্যমে ফুলটি চালাতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এখন শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী নিয়ে পাঁচ জন রয়েছে স্কুলটিতে। তা যেখানে দশটি ক্লাসরুম রয়েছে। মন ভাল রাখার জন্য রয়েছে বাগান। পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে পড়ুয়াদের পড়াশোনা শেখানো হয়। এখানে স্পেশাল এডুকেটর, ব্রেইল শিক্ষক রয়েছেন। স্পিচ থেরাপি, আকুপ্রেশার, ফিজিওথেরাপি সহ শিক্ষার সঙ্গে স্বাস্থ্য বিষয়টিও দেখা হয়। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শিক্ষা থাকলেও অনেক অভিভাবক এখনও এই বিষয়ে সচেতন নন। কিছুদিনের মধ্যে পাইলট প্রজেক্টের মাধ্যমে পুরসভার বিশেষভাবে সক্ষমদের আনতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। এই স্কুলে পড়েই দুজন দৃষ্টিহীন আজ প্রাথমিক শিক্ষিকা, দুজন রেলে চাকরিরত ও প্রচুর ছাত্র স্বনির্ভর।

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা ডলি মৈত্র জানান, ‘আগে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে দিব্যাঙ্গদের মানবিক ভাতা দেওয়া হত। এখন পাঁচ বছরের পরেক পেয়ে যাচ্ছে। ফলে পড়াশোনায় আগ্রহ হারাচ্ছে তাদের অভিভাবকরা। পুরসভায় সার্ভে করে ৫৩৩ জন দিব্যাঙ্গ চিহ্নিত হয়েছে। তাদের অভিভাবকরা শিক্ষাদানে আগ্রহী। পুর কর্তৃপক্ষকে আবেদন জানাব। যাতে এই স্কুলকে ব্যবহার করা হয় যথাযথভাবে। শিক্ষা বাঁচলেই অর্থ সংস্থান হবে এই স্কুল চলার ক্ষেত্রে।