বাংলা কবিতাকে অবাস্তব কল্পনার জগৎ থেকে রূঢ় বাস্তবে নিয়ে আসার পথপ্রদর্শক যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত – একটি বিশেষ পর্যালোচনা।

0
22

ভূমিকা–

যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত  ছিলেন বাংলা ভাষার একজন কবি ও লেখক। যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের জন্ম ২৬ জুন ১৮৮৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার পাতিলপাড়ায় মাতুলালয়ে। পৈতৃক নিবাস পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায় শান্তিপুরের অদূরে হরিপুর গ্রামে।

শিক্ষাজীবন—–

তিনি ১৯১১ সালে হাওড়ার শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন।

কর্মজীবন——

যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে নদীয়া জেলা বোর্ড ও পরে কাশিমবাজার রাজ স্টেটে কাজ করেন।পেশাগত জীবনে তিনি একজন প্রকৌশলী ছিলেন এবং নদীয়া জেলা বোর্ড এবং কাশিমবাজার রাজ্যে একজন ওভারসিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন।

সাহিত্যজীবন——

বাংলা কবিতাকে চিরায়ত ভাবাবেগ ও অতীন্দ্রিয়তার অত্যাচার থেকে মুক্ত করতে তিনি সতর্ক ছিলেন। তাই তাকে বাংলা কবিতাকে অবাস্তব কল্পনার জগৎ থেকে রূঢ় বাস্তবে নিয়ে আসার পথপ্রদর্শক বলা যেতে পারে। বোধগম্যতার কারণে তাঁর কবিতায় বঙ্গের সুর তীব্র এবং কবিতার নামকরণও ভিন্ন।

কবিতাবলি—–

মরীচিকা, মরুশিখা, কাব্য পরিমিতি, মরুমায়া, সায়ম, অনুপূর্বা, ত্রিযামা , নিশান্তিকা—প্রভৃতি তার কাব্যগ্রন্থ । শেষ বয়সে ম্যাকবেথ, হ্যামলেট, ওথেলো, শ্রীমদ্ভগবদগীতা, কুমারসম্ভব ইত্যাদির অনুবাদ কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন।

মৃত্যু—–

১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৫৪ সালে তিনি প্রয়াত হন।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।