সেতু নির্মান কার্য শেষ, অথচ তার সংযোগকারী রাস্তা তৈরী না করায় বিপাকে জলঘর ব্লকের সাফানগর, গোফানগর সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা।

0
15

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- কাশিয়াখাড়ির উপর দীর্ঘ কয়েক বছর আগে সেতু নির্মান কার্য শেষ । অথচ তার সংযোগকারী রাস্তা তৈরী না করায় বিপাকে জলঘর ব্লকের সাফানগর, গোফানগর সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা।সামনেই আসছে বর্ষা। তখন এই খাড়িতে জল বাড়লে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয় তাদের। অথচ মানুষ গ্রামীন জীবনের উন্নয়নের জন্য বামকে পরিবর্তন করে তৃনমুলকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল।কিন্তু আজ পরিবর্তনের পরিবরত্তন করে ও সেই এক পরিস্থিতি বলে স্থানিও গ্রামবাসিদের অভিযোগ। অথচ এই কাশিয়াখাড়ি পারাপার করে নিত্যদিন কয়েকশো স্কুল পড়ুয়া থেকে সাধারন মানুষকে নিত্যদিন বালুরঘাটে তাদের কাজে প্রানহাতে করে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে হুশ নেই স্থানিও প্রশাসনের।হুধু তাই নয় বর্তমানে গ্রামবাসিরা নিজেদের অর্থে কোনরকমে বাশের মাচা করে সেতুর সাথে সংযোগ করে কোনরকমে চলাচল করতে পারলেও গ্রামে কেউ হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে টোটো বা অটো গ্রামগুলিতে ঢুকতে না পারায় তাকে চিকিৎসার জন্য বালুরঘাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া তো দুরের কথা রাস্তাতেই প্রান হারাতে হয় অনেককে বলে স্থানিওদের অভিযোগ। তাদের অভিযোগ আগে তাও খাড়ি পারাপারের জন্য নৌকা চলত, কিন্তু সেতু নির্মানের ফলে সেই নৌকাও আর চলাচল করতে পারে না জলে ইট পাথরের বাধার জন্য।সামনেই বর্ষা, তখন ফুলে ফেপে ওঠা এই কাশিয়াখাড়ি অন্য রুপ ধারন করে। প্রত্যেক বছর এই বর্ষায় গ্রামবাসিদের দুর্ভোগ আরো চরমে ওঠে বলে তাদের অভিযোগ।

তাদের আরো অভিযোগ তাদের এই চলাচলের জন্য সংযোগকারি রাস্তা নির্মানের জন্য বার বার স্থানিও পঞ্চায়েত থেকে বিডিও জেলাপরিষদ ও স্থানিও প্রশাসনের নিকট আবেদন জানিয়েও কোন সুরাহা মেলেনি।
তাই তারা একপ্রকার বাধ্য হয়েই প্রান হাতে করে তাদের এই ভাবে চলাফেরা করে নিজেদের জীবন ধারন করছেন বলে তারা অভিযোগ জানিয়েছেন।
বালুরঘাট ৫০ সমিতির সভাপতি অরূপ বিশ্বাস কেন্দ্রীয় সরকার থেকে অ্যাপ্রচ রাস্তা করার টাকা না দেওয়ায় রাস্তাটি তৈরি করা যাচ্ছে না, তবে চেষ্টা করা হচ্ছে অতি শীঘ্রই রাস্তায় দিন তৈরি করে জনসাধারণের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

এখন দেখার কবে স্থানিও প্রশাসনের ঘুম ভাংগে।