দলের দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলতেই জবাব তলব জেলা সভাপতির।

0
45

পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ-  দলের দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলতেই জবাব তলব জেলা সভাপতির। উল্লেখ্য : বিগত দিনে অবৈধ নির্মাণ অবৈধ উপায়ে পুকুর ভরাট এমনকি ফুটপাতে ব্যবসায়ীদের নিয়ে মুখ খোলেন বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার। সাংবাদিকদের সম্মুখীন হয়ে তিনি বলেছিলেন,শহরে অবৈধ নির্মাণ অবৈধ উপায়ে পুকুর ভরাট এবং ফুটপাতে জায়গা দখল করে ব্যবসা করা এইসবের পিছনে দলের প্রভাবশালী নেতাদের মদত আছে। কোন কাজে হাত দিতে গেলেই সাপের ছোবল খেতে হচ্ছে।
এবার সেই খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হতেই নড়েচড়ে বসলো পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জি। জেলা সভাপতি বর্ধমান পৌর প্রধানের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লেখেন। চিঠিতে উল্লেখ করেন ” বর্ধমান শহরের অবৈধ নির্মাণ পুকুর ভরাট ও জবরদখলের বিষয়ে আপনি যে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন সেই সাংবাদিক বৈঠকে দল বৈধতা দেয় না। দল আপনার কাছে জানতে চায় এই ধরনের সাংবাদিক বৈঠক করার জন্য পূর্বে দলের কোন উচ্চ নেতৃত্বের কাছে অনুমতি নিয়েছিলেন কিনা। সাংবাদিকদের কাছে যে সমস্ত প্রভাবশালীদের কথা বলেছেন যারা শহরে অবৈধ নির্মাণ পুকুর ভরাট ও জবর দখলের সাথে যুক্ত তাদের নাম ও প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ দলের কাছে দাখিল করুন। দল তথ্য-প্রমাণ দেখে এবং তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে”।
তবে জেলা সভাপতির দেওয়া চিঠি সম্বন্ধে কিছু বলতে রাজি হননি পৌরপ্রধান। তাকে জেলা সভাপতির দেওয়া চিঠি প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন এটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। জেলা সভাপতি আমার কাছে কোন কিছু জানতেই পারেন।
চিঠি প্রসঙ্গে জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, পৌর প্রধান যে সাংবাদিক বৈঠক করে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন সেটা তো তারই দেখা প্রয়োজন কারণ তার পৌর এলাকা। পৌর এলাকায় যদি কোন বিষয়ে কোন সমস্যা হয়ে থাকে সেটা তারই দেখা দরকার। আমরা পরিষ্কার জানতে চেয়েছি তিনি কাকে টার্গেট করছেন।
অন্যদিকে বিজেপির নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র এই প্রসঙ্গে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কয়েকদিন যাবত যে অবৈধ নির্মাণ ফুটপাত মুক্ত করার কথা বলছিলেন তাতে অনুপ্রাণিত হয়েই বর্ধমান পৌরসভার পৌর প্রধান পরেশ চন্দ্র সরকার হয়তো কথাগুলো বলছিলে। কিন্তু তিনি জানেন না তোলাবাজি,কাঠমানির সঙ্গে যুক্ত তাদের দলের একাংশ। তাই তিনি যখন সত্য কথা বলতে শুরু করলেন তাদেরই জেলার জেলা সভাপতি তাকে চিঠি পাঠিয়ে উত্তর চাইলেন কেন তিনি এই সমস্ত কথা বলছেন।