বিজেপির চাপে পরেই মাথাভাঙ্গার রুইডাঙ্গার নির্যাতিতা মহিলার বয়ান নিল পুলিশ।

0
33

কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা- ৩০ জুনঃ – মাথাভাঙ্গার রুইডাঙ্গা এলাকায় নির্যাতিতা মহিলার বিবস্ত্র করে মারধোর করে গ্রামে ঘুরিয়ে নিয়ে বেরানোর অভিযোগে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে পথ অবরোধ করে ও পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। সেখানে থেকে বেরিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, যে নির্যাতিতা হয়েছে, তার বয়ান না নিয়ে পুলিশ কথা বলে তার মা ও ছেলের সাথে। আমরা চাই পুলিশ যেন নির্যাতিতার বয়ান নেন। যেখানে নির্যাতিতাকে নিয়ে আসতে বলবে সেখানেই আমরা তাকে নিয়ে। তার কয়েক ঘন্টা কাটতে না কাটতেই নির্যাতিতার বয়ান নিল পুলিশ।
রবিবার সকালে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত মহিলা থানায় নির্যাতিতা মহিলাকে নিয়ে আসা হয়। তার সাথে ছিলেন বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বোস, সহ সভাপতি দিপা চক্রবর্তী, অর্পিতা নারায়ন ওই মহিলাকে থানায় নিয়ে আসেন। এরপর ওই মহিলার কাছ থেকে পুলিশ বয়ান নেন।
এদিন এবিষয়ে বিজেপির কোচবিহার জেলা সম্পাদক বিরাজ বোস বলেন, ‘পুলিশ তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। ওই ঘটনার দীর্ঘ ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও নির্যাতিতার বয়ান নেয়নি। তারপর গতকাল আমাদের নেত্রীর চাপে পরে আজ ওই নির্যাতিতা মহিলার বয়ান রেকর্ড করেন। আসলে তৃণমূলের কথায় পুলিশ ওই ঘটনাকে চাপাতে চাইছে। তৃণমূলের নেতা কর্মীদের বাঁচাতে চাইছে।’
তিনি আরও বলেন, গতকাল জাতীয় মহিলা কমিশন এসেছে। তারা আজ মাথাভাঙ্গার রুইডাঙ্গা এলাকায় নির্যাতিতার পরিবারের সাথে দেখা করতে তার বাড়িতে যান। সেখানে তার মায়ের সাথে কথা বলে এবং সেখান থেকে বেরিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশন ঘোকসাডাঙ্গা থানায় যান। সেখানে পুলিশের সাথে কথা বলেন তারা। তারপর সেখান থেকে ফিরে এসে কোচবিহার সার্কিট হাউসের আসেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা। সেখানে এসে তারা নির্যাতিতা মহিলার সাথে কথা বলছেন বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, শনিবার বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল এসে অভিযোগ করেছিলেন পুলিশ নির্যাতিতার বয়ান না নিয়ে আসল ঘটনাকে চাপা দিতে চাইছে। নিজেদের মতো করে কেস ডায়েরি সাজাচ্ছে। এরপরই দেখা গেল, এদিন ওই নির্যাতিতার মহিলার বয়ান নিলেন পুলিশ।