স্মরণে, ভারতীয় বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক ও কৃত্তিবাস পত্রিকার অন্যতম প্রথম সম্পাদক আনন্দ বাগচী।

0
22

জন্ম ——-

১ জুলাই ১৯৩২ সালে আনন্দ বাগচীর জন্ম অবিভক্ত বাংলার অধুনা বাংলাদেশের পাবনা জেলার স্বাগতা গ্রামে। পিতা শ্রীচন্দ্র বাগচী এবং মাতা সজলবালা দেবী। পাঁচ ভাই বোনের সকলের বড় ছিলেন তিনি। আনন্দ বাগচী ছিলেন ভারতীয় বাঙালি কবি ও উপন্যাসিক।

শিক্ষা জীবন——-

তার উচ্চ শিক্ষাএ কলকাতায়। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়ার সময় তার সহপাঠী ছিলেন কবি দীপক মজুমদার। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এম.এ পাশ করেন।

কর্মজীবন ——

এম.এ পাশের পর তিনি ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে কর্মজীবন শুরু করেন বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজে|  বাঁকুড়ার এই কলেজে ষোল বৎসর অধ্যাপনা করার পর তিনি সাগরময় ঘোষের আহ্বানে দেশ পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগে যোগ দেন এবং কলকাতায় চলে আসেন। সাহিত্যজীবনের শুরুতে তিনি হর্ষবর্ধন এবং ত্রিলোচন কলমচির ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন।

সাহিত্যকর্ম——

উনিশ শতকের পঞ্চাশের দশকে তিনি কবি হিসেবে বিখ্যাত হলেও ঔপন্যাসিক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, দীপক মজুমদার এবং তিনি ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত তরুনতম কবিদের মুখপত্র কবিতা পত্রিকা কৃত্তিবাসের প্রথম সংখ্যার সম্পাদক ছিলেন। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ স্বগত সন্ধ্যার কবিতা এই পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এবং তিনি কবি হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেন।

কৃত্তিবাস পত্রিকার মাধ্যমে তিনি শক্তি চট্টোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব বসু, শরৎকুমার মুখোপাধ্যায় প্রমুখের সঙ্গে আধুনিক কবিতা আন্দোলনে নিবিড়ভাবে যুক্ত হন। এছাড়া তিনি শেষে সেতু, পারাবত, বৃশ্চিক প্রভৃতি পত্রিকা বিভিন্ন সময়ে সম্পাদনা করেছেন। কবিতা উপন্যাস ছাড়াও তিনি কিশোরদের উপন্যাস, ছোটগল্প, রম্যরচনা ইত্যাদি রচনা করেছেন। প্রকাশিত রচনা ও গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল –

কাব্যগ্রন্থ—–

স্বগত সন্ধ্যা, তেপান্তর, উজ্জ্বল ছুরির নিচে, বিস্মরণ, শ্রেষ্ঠ কবিতা।

উপন্যাস ও অন্যান্য রচনা—–

চকখড়ি, আক্ষেপানুরাগ , স্বকালপুরুষ, ফেরা না ফেরা, চাঁদ ডুবে গেল’, পরমায়ু, রাজযোটক, এই জন্ম অন্য জীবন, ছায়ার পাখি, সাহিত্য প্রসঙ্গে প্রভৃতি।

কবির স্বকালপুরুষ গ্রন্থটি হল কাব্যোপন্যাস এবং এটিই ছিল বাংলা সাহিত্যে সম্ভবত প্রথম প্রচেষ্টা।

পারিবারিক জীবন———

কবি আনন্দ বাগচী ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ২ ফেব্রুয়ারি মীরা বাগচীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের একমাত্র পুত্র সুনন্দ বাগচী।

জীবনাবসান——-

কবি আনন্দ বাগচী  হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ খ্রিস্টাব্দের ৯ জুন  পরলোক গমন করেন।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।